হুগলি: হুগলি লোকসভা (Hooghly Lok Sabha) কেন্দ্রে লড়াইয়ে হেভিওয়েট দুই তারকা প্রার্থী। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee), তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায় (Locket Chatterjee)। দিন ঘোষণার পর থেকে প্রচারে (Election Campaign) ব্যস্ত দুজনই। ইতিমধ্যেই সিঙুরে প্রচার করে এসেছেন তিনি। আর মঙ্গলবার তিনি প্রচারে বেরলেন চন্দননগরে। বললেন, আমার জীবনে আর কিছু পাওয়ার নেই। পিছিয়ে নেই বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। রাজহাট পঞ্চায়েত এলাকায় ভোটের প্রচার সারেন তিনি। ওলাবিবিতলায় প্রার্থনা করেন লকেট। এলাকায় ঘুরে ঘরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন। শোনেন তাঁদের অভাব অভিযোগের কথাও। গ্রামবাসীদের আবদার মেটাতে তাদের সঙ্গে তোলেন ছবিও। ভোট প্রচারের প্রথম দিন থেকেই লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনেই দাবি করে আসছেন, তাঁরা জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।
মঙ্গলবার চন্দননগরের বোড়াইচণ্ডি মন্দিরে পুজো দিয়ে, পাশের মাজারে চাদর চরিয়ে প্রচার শুরু করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদিনম্বর ওয়ানকে দেখতে যথারীতি ভীড় জমেছিল রাস্তার দু ধারে। বোড়াইচণ্ডীতলা ,বিন্দুবাসিনী পাড়া, লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার, উর্দ্দি বাজারের বিভিন্ন পাড়ায় প্রচার করেন রচনা। রচনা বলেন, ‘আমি নাম করে নিয়েছি। খ্যতি আছে। এখন জীবনের শেষ পনেরো কুড়িটা বছর মানুষের জন্য কিছু করতে পারি তাহলে আমি খুশি হব। জীবনে আমার আর কিছু পাওয়ার নেই। মানুষের প্রতি আস্থা বিশ্বাস আছে তাই বলছি আমি জিতব। এদিন পাকানেত্রীদের মতো চন্দনগরের সভা থেকে হুগলির বিদায়ী সাংসদ লকেটের কাছে ৫ বছরের কাছের ক্ষতিয়ান ও টাকার হিসাব চান।
আরও পড়ুন:বেআইনি নির্মাণ সামাজিক ব্যাধি, ঠেকাতে না পারায় আক্ষেপ মেয়রের
রচনা যখন চন্দননগরে তখন পোলবায় প্রচার করছিলেন হুগলির বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী লকেট। পচনার এই প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা লকেট বলেন, এই প্রথম উনি রাজনীতিতে এসেছেন। উনি হয়ত জানেন না যে প্রতি বছর পাঁচ কোটি টাকা করে পাওয়া যায়। গত পাঁচ বছরে ১৭ কোটি টাকা তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে খরচ হয়েছে। সাংসদ হিসাবে জল, স্বাস্থ্য, পথবাতি, স্কুলের উন্নয়ন, অ্যাম্বুল্যান্স-সহ বিভিন্ন কাজে অর্থ খরচ করেছেন বলেন জানান লকেট।
অন্য খবর দেখুন