কলকাতা: বাবুল সুপ্রিয়ের তৃণমূলে যোগদানকে দলের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। অল্পদিনের জন্য বিজেপিতে ছিলেন তিনি, শুধু মাত্র মন্ত্রীত্বের লোভেই দলে ছিলেন তিনি। এই সিদ্ধান্তে আসানসোলের মানুষের প্রতি প্রতারণা করলেন। বাবুল না থাকলেও আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল আসনে পদ্মফুল ফুঁটবে বলে দাবি বিজেপি নেতার। গত সাত বছর কেন্দ্রে মন্ত্রী ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় রদবদলের ফলে তাঁর মন্ত্রীত্বে কোপ পড়ে। সেই কারণেই তিনি দল ছেড়েছেন বলে তীব্র কটাক্ষ করেন শমীক ভট্টাচার্য।
পাশাপাশি বাবুলের এই সিদ্ধান্তকে সুবিধাবাদী রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। যা গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক বলেও দাবি করেন তিনি।
শমীক ভট্টাচার্য ছাড়াও বাবুলের দলবদল নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বাবুল সুপ্রিয়র মতো নেতাদের দলবদলের এই সিদ্ধান্ত রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। বাবুল সুপ্রিয়ের মতো দলবদলকারীদের জন্যই রাজনীতির প্রতি মানুষের বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে বলে কটাক্ষ করেন বাম নেতা।
অন্যদিকে, মানসিক যন্ত্রনার কারণেই বাবুলের পদ্ম শিবির ত্যাগের অন্যতম কারণ বলে দাবি করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। ‘বিজেপি সঙ্গ ভাল লাগেনি বাবুলের’ দাবি কুনালের।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের প্রাক-পুজো ধমাকা, মোদির হাত ছেড়ে দিদির হাত ধরলেন বাবুল
উল্লেখ্য ভবানীপুর কেন্দ্র উপনির্বাচনের ঠিক আগেই বাবুলের তৃণমূলে যোগদান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মাস্টারস্ট্রোক’ বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
কারণ ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের জন্য তারকা প্রচারক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনের আগেই বাবুলের দলবদলে গেরুয়া শিবির বড়সড় ধাক্কা খেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে বড় যন্ত্রণার মধ্যে ছিলেন বাবুল, বললেন কুণাল ঘোষ
গত বিধানসভা নির্বাচনে অরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে টালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ে পরাজিত হয়েছিলেন বাবুল।