কলকাতা: দিন কয়েক আগে ভবানীপুর উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। ফেসবুক পোস্টে বিজেপি প্রার্থীকে অভিনন্দন জানান আসানসোলের সাংসদ। তার কয়েকদিনের মধ্যেই ধমাকা দেখালেন ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপির তারকা প্রচারক তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। শনিবার দুপুরে তৃণমূলে যোগ দেন আসানসোলের সাংসদ।
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দলে স্বাগত জানান। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। দলবদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাবুল বলেন, রাজনীতি ছাড়ার কথা মন থেকেই বলেছিলাম। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাও ছেড়েছিলাম। বাংলার জন্য কিছু করার জন্যই রাজনীতিতে ফেরা। সিদ্ধান্ত বদল করার জন্য গর্বিত। এর মধ্যে প্রতিহিংসার কিছু নেই। শেষ চার দিনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
It gives us immense joy to welcome the former Union Minister and sitting MP from Asansol, @SuPriyoBabul, into the Trinamool family.
He joined us today in the presence of our National General Secretary @abhishekaitc and RS MP @derekobrienmp.
Moments from the day 👇 pic.twitter.com/vxS9F4yTxw
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) September 18, 2021
সাংসদ পদ ছাড়ার বিষয়ে বাবুল বলেন, ‘বিজেপির টিকিটে আসানসোলে জিতেছিলাম। তাই ওই পদ থেকে ইস্তফা দেব। সোমবার দিদির সঙ্গে দেখা করব।’ অগস্টের শুরুতে ফেসবুক পোস্টে বাবুল দাবি করেন, রাজনৈতিক কোনও অনুষ্ঠানে বা দলীয় কর্মসূচিতে তিনি থাকবেন না। সাংসদ হিসেবে আসানসোলের উন্নতিতে কাজ চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে প্রচারে নেই ‘বাবুল’, মিডিয়া জানে, দল জানে না, বললেন দিলীপ
Today, in the presence of National General Secretary @abhishekaitc and RS MP @derekobrienmp, former Union Minister and sitting MP @SuPriyoBabul joined the Trinamool family.
We take this opportunity to extend a very warm welcome to him! pic.twitter.com/6OEeEz5OGj
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) September 18, 2021
তার আগে ৩১ জুলাই শনিবার বিকালের পর থেকে বাবুলের ফেসবুক পোস্টে শুরু এবং শেষে লেখেন, চললাম অলবিদা৷ তার পরই বাবুলের রাজনীতিকে বিদায় জানানো নিয়ে চর্চা শুরু হয়। ওই পোস্টে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে বাম, কংগ্রেস বা তৃণমূলের মতো কোনও দলে তিনি যাচ্ছেন না। তেমন কোনও প্রস্তাব তাঁকে কেউ দেয়নি। সমর্থন করার জন্য বাবুলের একটিই দল, সেটি হল- মোহনবাগান। আর রাজনীতির জন্য একটিই পার্টি, আর তা হল- বিজেপি।
আরও পড়ুন: রাজনীতি ছেড়েও আঁকড়ে সাংসদ পদ, বাবুলের ‘যেমন বেণী তেমনি রবে’…
গেরুয়া শিবিরের হাত ধরে ২০১৪ সালে প্রথম রাজনীতিতে প্রবেশ করেন বাবুল৷ সেই বছরই তাঁকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে বিজেপি৷ ভোটের প্রচারে আসানসোলে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘মুঝে বাবুল চাহিয়ে৷’ মোদির কথা রাখেন আসানসোলবাসী৷ বিপুল ভোটে জিতিয়ে বাবুলকে সংসদে পাঠান ভোটাররা৷ ওই বছর রাজ্য থেকে দু’জন সাংসদ পায় বিজেপি৷ দু’জনকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেন মোদি৷
আরও পড়ুন: ‘চললাম অলবিদা’, বাবুলের ফেসবুক পোস্টে তোলপাড় রাজনীতি
এর পর ২০১৯ সালে সেই আসানসোল কেন্দ্র থেকে পুনরায় ভোটে দাঁড়ান বাবুল৷ ফের জিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন৷ তবে একুশের ভোটে বিপর্যয় সব ওলট-পালট করে দেয়৷ টালিগঞ্জ কেন্দ্রে অরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ালেও জিততে পারননি। তার পর বাবুলের মন্ত্রিত্বও কেড়ে নেওয়া হয়।