কলকাতা: এবার কী সত্যিই রাজনীতিকে বিদায় জানাতে চলেছেন বাবুল সুপ্রিয়? শনিবার বিকালের পর থেকে তাঁর ফেসবুক পোস্ট নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে৷ বাবুলের ফেসবুক পোস্টের শুরু এবং শেষে লেখা, চললাম অলবিদা৷ শব্দদুটি বেশ ইঙ্গিতবহ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ তার পরই বাবুলের রাজনীতিকে বিদায় জানানো নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে৷
আরও পড়ুন: বিজেপি যুব মোর্চায় সৌমিত্রর একনায়কতন্ত্র, সম্মান নেই মহিলাদের, দিলীপ ঘোষকে লিখিত অভিযোগ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ ‘কেড়ে’ নেওয়ার পর থেকে শীর্ষ নেতৃত্বের উপর অভিমান-ক্ষোভ চেপে রাখেননি বাবুল সুপ্রিয়৷ ফেসবুক পোস্টেও সেটা উল্লেখ করেন তিনি৷ বাবুল লিখেছেন, ‘প্রশ্ন উঠবেই কেনই বা রাজনীতি ছাড়তে গেছিলাম? মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার সাথে তার কি কোনো সম্পর্ক আছে? হ্যাঁ আছে-কিছুটা তো নিশ্চয় আছে!’
গেরুয়া শিবিরের হাত ধরে ২০১৪ সালে প্রথম রাজনীতিতে প্রবেশ৷ সেই বছরই তাঁকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে বিজেপি৷ ভোটের প্রচারে আসানসোলে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘মুঝে বাবুল চাহিয়ে৷’ মোদির কথা রাখেন আসানসোলবাসী৷ বিপুল ভোটে জিতিয়ে বাবুলকে সংসদে পাঠান ভোটাররা৷ ওই বছর রাজ্য থেকে দু’জন সাংসদ পায় বিজেপি৷ দু’জনকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেন মোদি৷ এর পর ২০১৯ সালে সেই আসানসোল কেন্দ্র থেকে পুনরায় ভোটে দাঁড়ান বাবুল৷ ফের জিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন৷ তবে একুশের ভোটে বিপর্যয় সব ওলট-পালট করে দেয়৷
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর দখলে বঙ্গ বিজেপি, অস্তিত্বের সঙ্কটে দিলীপ: ফিরহাদ
একুশের ভোটে বাবুলকে টালিগঞ্জে প্রার্থী করেছিল বিজেপি৷ কিন্তু তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাসের কাছে হেরে যান৷ তার পর চলে যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ৷ এ নিয়ে দলের সঙ্গে তাঁর বিরোধ প্রকাশ্যে এসে পড়ে৷ ফেসবুক পোস্টে বাবুল লেখেন, ‘ভোটের আগে থেকেই কিছু কিছু ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বের সাথে মতান্তর হচ্ছিল- তা হতেই পারে কিনতু তার মধ্যে কিছু বিশয় জনসমক্ষে চলে আসছিল৷ তার জন্য কোথাও আমি দায়ী (একটি ফেসবুক পোস্ট করেছিলাম যা পার্টির শৃঙ্খলাভঙ্গের পর্যায়েই পড়ে) আবারও কোথাও অন্য নেতারাও ভীষণভাবে দায়ী৷’ বিজেপি সাংসদ মনে করেন, প্রবীণ নেতাদের মতানৈক্য ও কলহে পার্টির ক্ষতি হচ্ছিল৷ নীচু স্তরের কর্মীদের মনোবলকে কোনওভাবেই সাহায্য করছিল না৷