কলকাতা ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস লাইনচ্যূত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নিউ ময়নাগুড়ি এবং নিউ দোমোহনি সেকশনে এই ঘটনা ঘটেছে। চারটি কামরা লাইনচ্যূত হয়েছে৷ মোট ১২টা কামরা ক্ষতিগ্রহস্থ হয়েছে৷ জোরকদমে উদ্ধারকাজ চলছে৷ বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ যা গত কয়েক দশকে রাজ্যের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে৷
৬ ডিসেম্বর, ২০১৬। রাত ৯টা নাগাদ আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা রোড স্টেশনের কাছে রাজেন্দ্রনগর-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। লাইনচ্যুত হয়ে মৃত্যু হয় ২ জনের।
৭ জানুয়ারি, ২০১২। নদিয়ার ফুলিয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনকে অন্য একটি লোকাল এসে ধাক্কা মারলে ১ জনের মৃত্যু হয়। রেড সিগন্যাল ভাঙার কারণে বগি লাইনচ্যুত হয়।
১৯ জুলাই, ২০১০। রাত তখন ২টো। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ট্রেনযাত্রীরা। হঠাৎ বিকট শব্দ। তারপরই ভেসে এল মৃত্যুমুখী মানুষের চিৎকার। সাঁইথিয়া স্টেশনে নিউ কোচবিহার থেকে আসা উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস পিছন দিক থেকে এসে ধাক্কা মারে ভাগলপুর-রাঁচি বনাঞ্চল এক্সপ্রেসকে।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারা গেলেন বহু। রাতের ঘন কালো অন্ধকারে উদ্ধারকাজে হাত লাগালেন কাছের গ্রাম থেকে ছুটে আসা বাসিন্দারা। সংঘর্ষে রেলের বগির অংশ রেলব্রিজে উঠে গিয়েছিল। অতিরিক্ত গতির কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলে জানা যায়। প্রায় ৭০ জনের মতো ট্রেনযাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল।
২৮ মে, ২০১০। রাত দেড়টা। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামের সরডিহা ও খেমাশুলির মাঝে লাইনচ্যুত হয় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। প্রাণ হারান প্রায় ১৪৮ জন। যদিও এর পিছনে নাশকতা, না দুর্ঘটনাই দায়ী, তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাধে। কারণ সে সময় মাওবাদীরা চার দিনের বনধ ডেকেছিল। বনধ শুরুর ৯০ মিনিটের মাথায় ওই ঘটনা ঘটে।
২ অগস্ট, ১৯৯৯। রাত পৌনে ২টো নাগাদ উত্তর দিনাজপুরের গাইসাল স্টেশনে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রায় ২৮৫ জনের মৃত্যু হয়। নয়াদিল্লি থেকে আসা অবধ-অসম এক্সপ্রেসের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে ব্রহ্মপুত্র মেলের।