কলকাতা: মঙ্গলবার ন্যাশনাল লাইব্রেরীতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে সংগঠনের জোরেই ভোটে জেতার নির্দেশ অমিত শাহ (Amit Shah)। রাজ্যে তৃণমূল (TMC) সরকারকে উৎখাতের ডাকও দেন তিনি। পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-কে আক্রমণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহ বলেন, ২০১৫-তে দিদি বিজেপি (BJP)-কে গুরুত্ব দেননি , কিন্তু আমাদের কর্মীরা লোকসভায় ১৮টি আসন এবং বিধানসভায় ৭৭টি আসন জিতেছিল। আমরা বিধানসভায় ৩ থেকে ৭৭টি আসন পেয়েছি। লোকসভায় আমরা শূন্য থেকে ১৮টি আসন লাভ করেছি। আগামী দিনে ৩৫টি আসন পাব, সেটা দিদিও ভালো ভাবে জানে। এবার মোদি সরকারে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩৫টি আসন আসবে। যদি আপনারা বাংলা থেকে ৩৫টি পদ্ম দেন তাহলে সোনার বাংলার গ্যারেন্টি মোদির।
স্বাধীনতার আগে বাংলা সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে ছিল, কিন্তু দিদির শাসনে বাংলা কালো টাকা, সিন্ডিকেট, অনুপ্রবেশ ও দুর্নীতির শিকার হয়েছে। বাংলায় যেখানে আগে রবীন্দ্রসংগীত শোনা যেত, আজ সেখানে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। যখন বাংলা থেকে বামপন্থী শাসন উচ্ছেদ করা হয়েছিল, তখন গোটা দেশ এবং বাংলার মানুষ খুশি হয়েছিল, কিন্তু দিদি যেভাবে শাসন চালিয়েছেন তাতে জনগনের বক্তব্য হল, বামপন্থীরা এর চেয়ে ভালো ছিল।
নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে শাহ বলেন, যাদের বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তাদের কনস্টেবল বলে ডেকেছেন দিদি, যখন কনস্টেবলের কাছে এত টাকা তখন মালিকদের কাছে কত টাকা থাকবে? বাংলায় বিজেপি সরকারের অর্থ – অনুপ্রবেশ এবং গরু চোরাচালান বন্ধ করা এবং শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া। দিদি শরণার্থীদের বিভ্রান্ত করার জন্য জিজ্ঞাসা করলেন সিএএ (CAA) কার্যকর হবে কি না? সিএএ (CAA) দেশের আইন এবং এটি বলবৎ থাকবে।
এদিন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেউ আক্রমণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, দিদি, আপনার সমর্থনের ভিত্তি কমে গিয়েছে এবং বাংলার মানুষরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এবার মোদি সরকার গঠন করা হবে।