বহরমপুর: ভোটের পর পরাজিত বিজেপি এবং আরএসপি প্রার্থীদের মিষ্টি খাওয়ালেন জয়ী তৃণমুল প্রার্থী। বহরমপুর ব্লকের গোয়ালজান নিয়াল্লিশপাড়ার ঘটনা। সেখানের গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী তৃণমুল প্রার্থী জয়ন্ত দে ওই বুথের পরাজিত বিজেপি এবং আরএসপি প্রার্থীদের মিষ্টি খাওয়ালেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় সারা জেলায় শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ভোটের বলি ৮ জন। এদিকে, বহরমপুরের ভাগীরথী নদীর ওপারে গোয়ালজান নিয়াল্লিশ পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে সেখানে। ওই পঞ্চায়েতের ১৬ নং গ্রাম সংসদের গোয়ালজান ঠাকুর পাড়া এলাকায় ৩০০’র বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমুল প্রার্থী জয়ন্ত দে। সেই প্রার্থী এলাকার ৭১৬ জন ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবুজ রঙের রসগোল্লা খাইয়ে বেড়ালেন। একই সঙ্গে তাঁর সংসদের আরএসপি প্রার্থী স্বপন দত্ত এবং বিজেপি প্রার্থী তারক মারিয়াকে মিষ্টিমুখ মুখ করালেন বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী। তবে, তৃণমুল প্রার্থীর ওই উদ্যোগে খুশি বিরোধী শিবিরও।
এ নিয়ে ওই বুথের বিজেপি প্রার্থী তারক মারিয়া বলেন, রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়, কিন্তু সম্পর্কটাই আসল। প্রত্যেক প্রার্থীরাই এলাকার মানুষ। এরপর তিনি আরও বলেন, ভোট মানেই হারজিতের খেলা। তাতে সম্পর্কের যাতে চিড় না ধরে সেদিকে তাকিয়েই তিনি তৃণমুল প্রার্থীর মিষ্টি খেলেন। অন্যদিকে, বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী জয়ন্ত দে বলেন, এলাকার মানুষ তাকে দুহাতভরে ভোট দিয়েছেন, তাতে তিনি খুশী। কিন্তু জয়ের পর এলাকায় দলমত নির্বিশেষে সমস্ত ভোটারকে মিষ্টি খাইয়েছেন তিনি। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা যেমন সকল মানুষ পান তেমনি তিনিও মনে করেন তাঁর এলাকায় সমস্ত মানুষ এক। ফলে রাজনীতির রং না দেখে তিনি সকলকে মিষ্টিমুখ করিয়েছেন।
অন্যদিকে জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি জয়ন্ত কর্মকার বলেন, বোমা- গুলি নয়, জেলায় শান্তি চান তিনি। ভোট পরবর্তী হিংসা যাতে না হয় সে কারণে তিনি জেলার মানুষকে অনুরোধ জানাচ্ছেন। এদিকে জেলাবাসীও চাইছেন ভোটের বলি আর কেউ যেন না হয় মুর্শিদাবাদে, রক্তপাত যেন না ঘটে সেটাই চান সাধারণ মানুষ।