কলকাতা: রাজ্যসভা ভোটের (Rajya Sabha Election) প্রার্থী কারা হচ্ছেন সেই নিয়ে জল্পনা চলছে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই। মঙ্গলবার দুপুরের পরে সেই জল্পনা বাড়ল আরও বেশ কিছুটা। মঙ্গলবার কলকাতায় ফিরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়িতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখানেই তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টার ব্যক্তিগত বৈঠক করেন অভিষেক। এই বৈঠকেই রাজ্যসভা ভোটের প্রার্থী কারা হচ্ছেন সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। যদিও দু’জনের মধ্যে কী কথা হয়েছে সে ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ভাবে কেউই কিছু জানাননি।
রাজ্যের পাঁচটি রাজ্যসভা আসন ফাঁকা হচ্ছে। বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে চারটি পাবে তৃণমূল। একটিতে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী জিতবেন। মঙ্গলবার সেই তালিকা নিয়েই দু’জনের আলোচনা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। তৃণমূলের এক শীর্ষ সূত্রের দাবি, চারটি আসনেই নতুন প্রার্থী দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। নাম ঘোষণা হতে পারে বুধবার। বাংলা থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার পাঁচ সাংসদ শান্তনু সেন, নাদিমুল হক, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, শুভাশিস চক্রবর্তী এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির মেয়াদ ফুরোচ্ছে। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের বর্তমান যা সম্পর্ক, তাতে মনু সিঙ্ঘভির পুনরায় মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা কম। পাশাপাশি এটাও ঠিক যে, মনু সিঙ্ঘভি (Abhishek Manu Singhvi) সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার এবং অভিষেকের আইনজীবী। তবে এবার একটি আসন বিজেপির জন্য নিশ্চিত।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুই ষড়যন্ত্র করে কলকাঠি নাড়ছে, মন্তব্য মন্ত্রী শশীর
রাজ্যসভার মনোনয়ন পেশ করা শুরু শুক্রবার। চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ ফেব্রুয়ারি। তার আগে মমতা-অভিষেক বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। প্রসঙ্গত, যাঁরা রাজ্যসভায় প্রার্থী হবেন, তাঁদের নানাবিধ নথিপত্রের প্রয়োজন হয়। সে সব প্রস্তুত করারও বিষয় রয়েছে। একটি সূত্রের দাবি, প্রার্থীদের সেইসব নথিপত্র প্রস্তুত করতে বলে দেওয়া হয়েছে। একাধিক নাম নিয়ে জল্পনা চলছে। তবে সংখ্যালঘু এবং তফসিলি প্রার্থীদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে বলেই তৃণমূল (TMC) সূত্রে খবর।
আরও খবর দেখুন