কোচবিহার: কোচবিহারের (Coochbehar) দিনহাটা (Dinhata) নিয়ে রিপোর্ট পেশ হল নির্বাচন কমিশনে (National Election Commission)। পুলিশের তরফে কমিশনে রিপোর্ট দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতেই নির্বাচন কমিশন রাজ্য নির্বাচন দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এদিন দিনহাটায় যান। তিনি জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। দিনহাটা যাওয়ার পথে বুধবার কলকাতা বিমানবন্দরে রাজ্যপাল বলেন, আমি কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আমি চাই ভোট হোক অবাধ ও শান্তিপূর্ণ। ভোটের আগেই এত অশান্তি কেন, তা জানতে চেয়ে মঙ্গলবার রাতে রাজ্যপাল রাজ্য পুলিশের নয়া ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট চান।
এদিন তৃণমূল ২৪ ঘণ্টার দিনহাটা বনধ ডাকে। সকাল থেকে শহরে দোকানপাট, যানবাহন প্রায় বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাটও ছিল শুনশান। বিজেপি আবার মঙ্গলবারের ঘটনার প্রতিবাদে এসপি অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল। তাকে ঘিরে ধুন্ধুমার ঘটে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি চলে। বেলায় তৃণমূল নেতা এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী উদয়ন গুহ জানান, রমজান এবং সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে বিকেল চারটে পর্যন্ত বনধ চলবে। তৃণমূল সূত্রের খবর, রমজান চলাকালীন বনধ ডাকায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব উদয়নের উপর ক্ষুব্ধ। তাই তড়িঘড়ি তিনি সময়সীমা কমিয়ে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত নয়টা নাগাদ দিনহাটা পাঁচ মাথার মোড়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এবারের কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ের উপর তৃণমূল হামলা করে বলে অভিযোগ। রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহের জন্মদিন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলা হয়, এমনটাই অভিযোগ। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, কনভয় থেকে খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্ররোচনায় তাদের কর্মীদের উপর হামলা হয়। একটা সময় দুই মন্ত্রীই গাড়ি থেকে নেমে মুখোমুখি হন। দুজনকে একে অপরের দিকে তেড়ে আসতে দেখা যায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই দুই দলের মধ্যে মারামারি হয়। গোলমাল থামাতে গিয়ে এসডিপিও-সহ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হন। তৃণমূলের এক কর্মীরও মাথা ফাটে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গারা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী, জনস্বার্থ মামলায় জানাল কেন্দ্রীয় সরকার
আরও খবর দেখুন