কলকাতা: অসহ্য গরম থেকে রেহাই মিলেছে আগেই। দিন কয়েক ধরেই দাবদাহের পরিস্থিতি আর নেই। মাঝেমধ্যে হালকা-ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে (Rain) স্বস্তির আবহাওয়াই রয়েছে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গে কালবৈশাখীর (Kalbaisakhi) সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর (Weather Office) সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। ঘূর্ণাবর্তের জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৫ মে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে। ৬ মে থেকে তাপমাত্রা বাড়বে। আবারও ৪০ ডিগ্রির কাছে পৌঁছবে তাপমাত্রার পারদ।
জানা গিয়েছে, আগামী ৬ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে। ৭ তারিখ ওই অঞ্চলেই সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সেই ঘূর্ণাবর্ত থেকে ৮ তারিখ গভীর নিম্নচাপ তৈরি হবে। তারপর সেটি আরও শক্তি বাড়িয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। এগিয়ে যেতে থাকবে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে। তারপর সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তবে আপাতত কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।
নিম্নচাপের প্রভাবে প্রভাবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে বিক্ষিপ্তভাবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে। দক্ষিণবঙ্গের নয়টি জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। তালিকায় রয়েছে দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং কলকাতা। বুধবার কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। এর মধ্যে আছে পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমান।
মৌসম ভবন বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে। শক্তি সঞ্চার করে ৬ মে নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপ। সেই ঘূর্ণিঝড়েরই নাম দেওয়া হয়েছে ‘মোচা’। ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে মৌসম ভবনের চেয়ারম্যান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, “একটি বিশেষ মডেল অনুযায়ী মনে হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে। আমরা নজর রাখছি। নিয়মিত তথ্য সরবরাহ করা হবে।” আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ৩ এবং ৪ মে দুই বঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হবে। চলবে ঝোড়ো হাওয়া। ৫ তারিখ থেকে ধীরে ধীরে বাড়বে দিনের তাপমাত্রা। তবে এই মুহূর্তেই কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।