নয়াদিল্লি: দিল্লিতে সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) মহিলারা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Droupadi Murmu) সঙ্গে দেখা করলেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা। শুক্রবার পুরুষ ও মহিলা মিলে ১১ জন রাষ্ট্রপতি ভবনে যান। তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শুনলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি তাঁদের কাছে দুঃখপ্রকাশও করেন। এর আগে বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন সন্দেশখালির বেশ কয়েকজন মহিলা।
লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূলের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। সন্দেশখালি ইস্যুকে হাতিয়ার করে লোকসভা ভোটে ঘাসফুল শিবিরকে কোণঠাসা করতে চাইছে বিজেপি। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের নিয়ে গিয়েছিলেন সেন্টার ফর এসসি এসটি সাপোর্ট অ্যান্ড রিসার্চের ডিরেক্টর ড. পার্থ বিশ্বাস। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে পার্থ জানান, সন্দেশখালির বিষয়টি সরাসরি নির্যাতিতদের মুখ থেকেই যাতে রাষ্ট্রপতি জানতে পারেন, তাই সন্দেশখালির মহিলা এবং নির্যাতিত পুরুষদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে এসেছিলেন। রাষ্ট্রপতি তাঁদের কথা শুনেছেন। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তিনি দুঃখপ্রকাশও করেন।
আরও পড়ুন:দিল্লির দুয়ারে গিয়ে অর্জুনের বিজেপিতে যোগ, সঙ্গী তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু
সন্দেশখালিতে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অত্যাচার, জমি দখলের অভিযোগ এনেছিলেন এলাকার মহিলারা। অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন শারীরিক নির্যাতনের। সন্দেশখালিতে ইডি হামলার প্রায় ৫৫ দিন পর গ্রেফতার হন শাহজাহান। গ্রামগুলিতে অশান্তির মাঝে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালি যান। উল্লেখ্য, এর আগেও সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট গিয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। জাতীয় তফসিলি জাতি এবং জনজাতি কমিশনের পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং মহিলা কমিশনও চিঠি দিয়েছিল তাঁকে। সব সংস্থাই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছে তাদের রিপোর্টে।
অন্য খবর দেখুন