পটনা: চলন্ত ট্রেনের কামরা থেকে মহিলা কনস্টেবলকে ছুড়ে ফেলে দিল বেপরোয়া দুষ্কৃতীরা৷ ট্রেন থেকে পড়ে মাথায় গুরুতর চোট পান ওই মহিলা পুলিসকর্মী৷ তিনি জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীদের চুরিতে বাধা দিয়েছিলেন৷ তারা ব্যাগ ও মোবাইল ছিনতাই করে পালাচ্ছিল৷ তিনি বাধা দেওয়ায় চারজন দুষ্কৃতী মিলে তাঁকে ট্রেনের কামরা থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়৷ সারা শরীরেই চোট পান তিনি৷ তবে মাথায় ও ডানপায়ে চোট গুরুতর৷ এদিকে বিহারের কাটিহার জেলার ওই ঘটনায় রেল পুলিসের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে জেলা পুলিস৷ জানিয়েছে, চলন্ত ট্রেনে ঘটনাটি ঘটেছে৷ রেল পুলিস বিষয়টি দেখবে৷
যদিও এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত মহিলা পুলিসকর্মীর বয়ান রেকর্ড করেনি রেল পুলিস৷ ঘটনাটি কোন রেল পুলিস এলাকায় ঘটেছে সেটা মহিলার বয়ান রেকর্ড হওয়ার পরই স্পষ্ট হবে৷ এমনটাই জানিয়েছেন কাটিহারের স্টেশন হাউস অফিসার রবীন্দ্র কুমার৷ জানা গিয়েছে, আক্রান্ত মহিলার নাম আরতি কুমারী৷ তিনি ডিউটি সেরে সমস্তিপুর-কাটিহার প্যাসেঞ্জার ট্রেনে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন৷ বুধবার সকালে ট্রেনটি কাটিহার স্টেশনে ঢোকার আগেই ঘটনাটি ঘটে৷ আরতি কুমারি বলেন, ‘চার দুষ্কৃতী আমার ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে পালাচ্ছিল৷ আমি বাধা দিই৷ তখন আমাকে কামরা থেকে ছুড়ে ফেলে’৷
ট্রেন থেকে পড়ে ওই মহিলার ডান পা ভেঙে গিয়েছে৷ মাথাতেও গভীর চোট পান তিনি৷ দুর্ঘটনার সময় ট্রেনে কোনও পুরুষরক্ষী ছিল না৷ অভিযোগ, কাটিহারের রেল পুলিস সুপারকে ঘনঘন ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি৷ এখনও পর্যন্ত রেল পুলিস বা রাজ্য পুলিস কেউই অভিযোগ দায়ের করেনি৷ কাটিয়ার পুলিস জানিয়ে দিয়েছে এটা রেল পুলিস তদন্ত করবে৷ এদিকে ট্রেনের ভিতর দুষ্কৃতীদের দৌরাত্মের খবরে আতঙ্কিত রেলযাত্রীরা৷ পুলিসকর্মীই যেখানে নিরাপদ নন সেখানে আম জনতার নিরাপত্তা কোথাও? প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা৷
আরও পড়ুন: Bansdroni: একাকিত্বের অবসাদ থেকে কাল্পনিক খুনের গল্প, বাঁশদ্রোণীর ঘটনায় হতবাক পুলিস