বাঁকুড়া: শীতের আগমন হলেই ভারতে বিভিন্ন দেশ থেকে বিশেষত সাইবেরিয়া (Siberian Bird) অঞ্চল থেকে চলে আসে প্রচুর পরিযায়ী পাখি (Migrating Bird)। এ রাজ্যেও বহু জলা-বিল ঝিলে পরিযায়ী পাখির আনাগোনা হয়। তেমনই বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরের কংসাবতী জলাধারে শীতে মেলা বসে বিদেশি পাখিদের। কিন্তু পরিবেশ দূষণের কারণে দিন দিন পাখির সংখ্যা কমছে তাই বাঁকুড়ায় পাখি গণনার কাজে নামল বন দফতর। খতিয়ে দেখা হচ্ছে পাখির প্রজাতি ও সংখ্যা।
বৃহঃস্পতিবার সকাল থেকেই জল, জঙ্গল পাহাড় ঘেরা মুকুটমণিপুরের সুবিশাল জলাধার ঘুরে শুরু হয় পাখি গননার কাজ। উপস্থিত ছিলেন বনদফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও পক্ষী বিশেষজ্ঞরা । তাঁরা জানান, ২৫ থেকে ৩০ রকমের প্রজাতির পরিযায়ী ও স্থানীয় পাখির দেখা মেলে জলাধারে। এই গণনার মধ্য দিয়ে দেখা হবে জেলার বড় বড় জলাশয় গুলিতে আসা পাখির সংখ্যা ও পাখির প্রজাতি।
বিশ্ব উষ্ণয়ন ও ভয়ঙ্কর পরিবেশ দূষণের কারণে বহু প্রজাতির পাখি এখন বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। যে জলাভূমিতে সাইবেরিয়ান পাখিরা সাময়িক আস্তানা গাড়ত সেই জলাভুমিগুলোতে দূষণের কারণে তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। চিত্রগ্রাহক, শব্দ ও এলাকার নোংরা জল , সেই জলায় নিয়ে গিয়ে ফেলায় পাখির দল আর আসেনা। বিশেষ করে জলাভুমি সংস্কারের নামে পাখিদের খাদ্য ভাণ্ডার নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। সেই কারণেই এই বছর কত ধরণের, কত সংখ্যায় পরিযায়ী পাখি এসেছে তারই হিসাব-নিকাশে নেমেছে বাঁকুড়া বন দফতর।
আরও পড়ুন বিরল প্রজাতির মিষ্টি জলের কচ্ছপের জীবনধারা জানতে জিপিএস