কলকাতা: শুক্রবার নয়, বৃহস্পতিবার লালবাজারে ডিউটি করেছিলেন কলকাতা পুলিসের পঞ্চম ব্যাটেলিয়ানের আত্মঘাতী কনস্টেবল চোদুপ লেপচা। শুক্রবার কলকাতা পুলিসের যুগ্ম নগরপাল (সদর) শুভঙ্কর সিংহ সরকার জানান, ওই দিন ওই কনস্টেবল ডিউটি করেছিলেন লালবাজারের ইন গেটে। সেদিন আবার লালবাজারে পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলের গুরুত্বপূর্ণ প্রেস কনফারেন্স ছিল। পার্ক সার্কাসে গুলিচালনার খবর জানার পর আতঙ্কিত লালবাজারের পুলিস কর্মীরাই। তাদের মতে, ওই কনস্টেবল যদি লালবাজারের মধ্যেই গুলি চালিয়ে দিতেন তাহলে আরও বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারত। তবে লালবাজারে ডিউটির সময় তাঁর হাতে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না। থাকলে হয়তো গুলি চালিয়ে দিতেন বলে আশঙ্কা করছেন তার সঙ্গে বৃহস্পতিবার ডিউটি করা পুলিসকর্মীরা।
আত্মঘাতী কনস্টেবলের বাড়ি কালিম্পং-এর দোকান দ্বারা এলাকায়। বাবা সেরিন লেপচা ছিলেন কলকাতা পুলিসের দক্ষিণ ডিভিশনের কনস্টেবল। ২০১৭ সালে বাবার মৃত্যু হয়। গতবছর কলকাতা পুলিসের চাকরিতে যোগদান করেন ওই আত্মঘাতী কনস্টেবল। মা অনেকদিন আগেই মারা গিয়েছেন। দেশের বাড়িতে শুধু রয়েছেন আত্মঘাতী কনস্টেবলের দাদা এবং বৌদি। গত মাসের ৩০ তারিখে দশ দিনের জন্য ছুটি নিয়ে তিনি বাড়িতে যান। ছুটি কাটিয়ে তিনি বৃহস্পতিবার লালবাজারের ডিউটিতে যোগ দেন।
তাহলে কি বাড়িতে কোনও অশান্তির জন্য তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন? সেই জন্যেই কি পার্কসার্কাসের এই ঘটনা? তদন্ত করে দেখছে পুলিস। তদন্তে জানা গিয়েছে, এসএলআরের মতো অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রে ৪০ রাউন্ড গুলি থাকে। কিন্তু শুক্রবার ওই কনস্টেবলের রাইফেলে ছিল ২০ রাউন্ড গুলি।
আরও পড়ুন: Howrah: বিয়ের কথাবার্তা বলতে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের আসার কথা ছিল, তার আগেই এল দুঃসংবাদ