বেঙ্গালুরু: বিতর্ক পুরনো৷ সম্প্রতি তা উস্কে দিয়েছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে৷ তারপরই কর্নাটকের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনগুলি মসজিদে লাউডস্পিকার নিষিদ্ধের দাবিতে রাস্তায় নেমে পড়েছে৷ হিন্দুত্ববাদীদের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন কর্নাটকের মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা৷ তিনি বলেন, রাজ ঠাকরে যে দাবি তুলেছেন তাতে ভুল নেই৷ মুসলিমদের বুঝিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যেতে পারে৷ নইলে ভবিষ্যতে ধর্মে ধর্মে বিবাদ লেগে যাবে৷ অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি, বিষয়টিকে নিয়ে রাজ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি৷
গত সপ্তাহে মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কের একটি জনসভায় হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজ ঠাকরে বলেছিলেন, ‘মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে৷ না হলে মসজিদের বাইরে স্পিকারে উচ্চস্বরে হনুমান চালিশা বাজানো হবে৷’ রাজ ঠাকরের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠে৷ অনেকেই তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতা করেন৷ কিন্তু হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলিকে পাশে পান তিনি৷ তারাই মসজিদ মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার নিষিদ্ধের দাবিতে রাস্তায় নেমে পড়ে৷ শ্রীরাম সেনা কনভেনার প্রমোদ মুথালিকের বক্তব্য, হিন্দু সংগঠনগুলি অনেকদিন ধরেই মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছে৷ শব্দদূষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও একটি নির্দেশিকা আছে৷ তারপরেও পুলিস প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই৷
হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির দাবির সঙ্গে একমত কর্নাটকের মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা৷ তিনি বলেন, ভোরবেলা ও সন্ধেবেলায় লাউডস্পিকারের শব্দে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় সমস্যা হয়৷ রোগীদের ঠিকমতো ঘুম হয় না৷ এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের৷ মসজিদের দোহাই দিয়ে মন্দির ও চার্চগুলিতে যদি লাউডস্পিকার বাজতে শুরু করে তাহলে ধর্মে ধর্মে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়বে৷ উত্তেজনা এড়াতে মুসলিম নেতাদের এগুলো বোঝাতে হবে৷ তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজুক৷ এর বিরোধিতা করেছেন কর্নাটকের প্রাক্তন কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া৷ তিনি জানিয়েছেন, চার্চ ও মন্দিরে লাউডস্পিকার রয়েছে৷ কারও কোনও সমস্যা হয় না৷ এই বছরেও অনেক নির্বাচন আছে৷ তাই বিষয়টিকে নির্বাচনী ইস্যু করার চেষ্টা চলছে৷ এতে সমাজে বিভাজন তৈরি হবে৷ শান্তি নষ্ট হবে৷
আরও পড়ুন: Boris Johnson: অবাধ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার মাঝে এপ্রিলের শেষে ভারতে বরিস জনসন