পটনা: শিক্ষিতা যুবতীর জোটেনি চাকরি৷ তাই বলে হাল ছাড়েননি৷ অর্থনীতিতে স্নাতক পাশ ওই তরুণী নিজের উদ্যোগে খুলে ফেলেছেন চায়ের দোকান৷ ‘লোক ক্যায়া সোচেঙ্গে’-র মতো প্রচলিত সমাজের ধ্যানধারণা থেকে বেরিয়ে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ‘সোচো মৎ, চালু কর দে ব্যস’, মন্ত্রে তরুণী ঝাঁপিয়ে পড়েছেন চা বিক্রির ব্যবসায়৷
পটনার মহিলা কলেজের বাইরে চা বিক্রি করে রাতারাতি ‘চায়েওয়ালি’ তকমা জুটে গিয়েছে ২৪ বছরের প্রিয়াঙ্কা গুপ্তার৷ ২০১৯ সালে তিনি অর্থনীতিতে স্নাতক পাশ করেন৷ এরপরই শুরু হয় চাকরির জন্য লড়াই৷ দু’বছরের বেশি সময় ধরে অনেক চেষ্টা করেন৷ কিন্তু ব্যর্থ হন৷ শেষ পর্যন্ত চায়ের দোকান খুলে ফেলেন৷ সংবাদমাধ্যমকে প্রিয়াঙ্কা জানান, প্রফুল্ল বিলোরের মতো এমবিএ শিক্ষিত যুবকের চায়ের দোকান খোলার গল্প তাঁকে উৎসাহিত করে৷ তাঁর প্রশ্ন, ‘ছেলেরা চা বিক্রি করতে পারলে মেয়েরা কেন পারবে না?’
এরপরই কলেজের বাইরে একটা গাছের তলায় গ্যাস ওভেন, কেটলি, চা পাতা, চিনি, দুধ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা৷ অনেক রকমের চা পাওয়া যায় তাঁর স্টলে৷ দাম শুরু ১৫ টাকা থেকে৷ সঙ্গে একটা কুকি নিলে অতিরিক্ত ১০ টাকা দিতে হবে৷ প্রিয়াঙ্কা তাঁর প্রচেষ্টাকে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার উদ্যোগ হিসেবেই দেখেন৷ কলেজের বহু ছাত্রী ও অশিক্ষক কর্মী যান তাঁর দোকানের চা খেতে৷ তবে এক শিক্ষিতার এভাবে চা বিক্রিকে কেউ কেউ ট্যারা চোখেও দেখেন৷ তাদের জন্য প্রিয়াঙ্কার মেনু কার্ডে রয়েছে বিশেষ বার্তা৷ তাতে লেখা, ‘লোক ক্যায়া সোচেঙ্গে অগর ইয়ে ভি হাম সোচেঙ্গে তো লগ কেয়া সোচেঙ্গে৷
Bihar: Priyanka Gupta, an economics graduate sets up a tea stall near Women's College in Patna
I did my UG in 2019 but was unable to get a job in the last 2 yrs. I took inspiration from Prafull Billore. There are many chaiwallas, why can't there be a chaiwali?, she says pic.twitter.com/8jfgwX4vSK
— ANI (@ANI) April 19, 2022
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: পড়ুয়াদের স্কুল করতে দিতে হবে, জিডি বিড়লা-সহ অন্যদের নির্দেশ হাইকোর্টের
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল কিছু পোস্ট দেখে অনেকেই প্রিয়াঙ্কার কথা জানতে পেরেছেন৷ কেউ তাঁর তারিফ করেছেন, কেউ নিন্দা৷ তবে নিন্দুকদের উদ্দেশে প্রিয়াঙ্কার সমর্থনে একজন লেখেন, ‘আগামিদিনে এই মেয়েটি অনেককে চাকরি দেবে৷’