পাটনা: রাজ্যে বিজেপি শাসিত জোট সরকার৷ সে রাজ্যেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বিজেপি নেতারা৷ কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় বিহারে দিন দিন আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে৷ বিজেপি নেতাদের বাড়িতে হামলা হচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ১০ জন নেতাকে ‘ওয়াই’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার৷ যাঁদের মধ্যে রয়েছে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী রেণুদেবী৷ জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকেই তাঁরা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাবেন৷ আজ থেকে তাঁদের ঘিরে সর্বক্ষণ থাকবেন আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা৷
গতকাল বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী রেণুদেবীর বাড়িতে হামলা হয়৷ ঘটনার সময় যদিও তিনি বাড়িতে ছিলেন না৷ কিন্তু তাঁর বাড়ির ভালোই ক্ষতি হয়৷ আন্দোলনকারীদের রোষ থেকে বাদ যায়নি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়ালের বাড়িও৷ তাঁর পারিবারিক পেট্রল পাম্পেও ভাঙচুর করে আন্দোলনকারীরা৷ এরপর ১২ লক্ষ টাকা লুঠ করে পালায়৷ এরপরই সঞ্জয় জয়সওয়াল নীতীশ কুমার প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন৷ তিনি বলেন, ‘সকলের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে৷ তাতে কোনও অন্যায় নেই৷ প্রত্যেকের ভিন্ন মত থাকে৷ কিন্তু আন্দোলনকারীদের ফ্রি-হ্যান্ড দিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বিজেপি নেতাদের বাড়ি ও সম্পত্তির উপর হামলা রোধে প্রশাসন কিছুই করছে না৷’
শুক্রবার বেতয়ায় সঞ্জয়ের বাড়িতে হামলা হয়৷ সেই সময় তিনি বাড়ি ছিলেন না৷ তবে পরে সাংবাদিকদের কাছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘আমরা দমকলকে ফোন করে ডাকতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু প্রশাসনের তরফে জানানো হল স্থানীয় প্রশাসন অনুমতি দিলেই তবে দমকল যাবে৷ আমরা এই সরকারের শরিক৷ কিন্তু এই রকম ঘটনা দেশের অন্য কোনও প্রান্তে হচ্ছে না৷ এটা শুধু বিহারেই হচ্ছে৷’ পাল্টা বিজেপিকে জবাব দিয়েছে শরিক দল জেডি(ইউ)৷ দলের সাংসদ রাজীব রঞ্জন জানান, বিজেপি মিছিমিছি রাজ্য সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে৷ কেন্দ্রের একটি সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় পথে নেমেছে যুবরা৷ জেডি(ইউ) হিংসাকে সমর্থন করে না৷ কিন্তু কেন এই যুবরা প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছে সেটা নিয়ে কেন্দ্রের ভাবনা-চিন্তা করা দরকার৷ কিন্তু বিজেপি রাজ্য সরকারকে এরজন্য দায়ী করছে৷
আরও পড়ুন: Agnipath Scheme: অগ্নিপথ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, অভিযোগ রাজনাথের
