পটনা: জনগণনাতে জাতির উল্লেখ থাকতে হবে৷ অনেকদিন ধরেই এই দাবি জানিয়ে আসছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার৷ বুধবার সর্বদলীয় বৈঠকে সেই দাবিতে সিলমোহর পড়ল৷ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানান, শাসক জোটের বিজেপি এবং বিরোধী দলগুলি জাতিগত সমীক্ষায় রাজি হয়েছে৷ খুব তাড়াতাড়ি রাজ্য মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবটি পেশ করা হবে৷
যদিও এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে যে প্রস্তাব পাশ হয়েছে সেখানে কোথাও জাতসুমারির উল্লেখ নেই৷ বলা হয়েছে, রাজ্যে জাতিগত সমীক্ষা হবে৷ আইনি জটিলতা এড়াতে সুমারির পথে না হেঁটে সমীক্ষা করাতে চায় বিহার সরকার৷ উল্লেখ্য, দেশে প্রতি দশ বছর অন্তর যে আদমসুমারি হয় তাতে জাতির উল্লেখ থাকে না৷ কিন্তু নীতীশ কুমার জাতির ভিত্তিতে জনগণনা বা জাতসুমারির পক্ষে৷ তাঁর যুক্তি, এতে সমাজের সর্বস্তরে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পৌঁছবে৷ এই দাবির পিছনে কোনও রাজনীতি নেই৷ বরং সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেই এই দাবি তিনি তুলেছেন বলে অতীতে বহুবার জানিয়েছেন৷ ২০২১ সালের অগস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে জাতসুমারির দাবি জানান৷ যদিও তার আগেই লোকসভায় কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছিল, তফসিলি জাতি ও উপজাতি ছাড়া ২০২১-এর আদমসুমারিতে জাতির উল্লেখ থাকবে না৷
বিহার যে সেই দাবি থেকে সরে আসেনি তা এদিন বুঝিয়ে দিলেন নীতীশ কুমার৷ বিরোধী দলের নেতা তেজস্বী যাদবকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘একটি সময়রেখার মধ্যে জাতিগত সমীক্ষার কাজ শেষ করা হবে৷ মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পেশের পর সেটি জনসমক্ষে আনা হবে৷’ অন্যদিকে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এই ঘোষণাকে তাদের জয় বলে উল্লেখ করেন৷ তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জয়৷ আমরা সমীক্ষক দলে সমাজবিজ্ঞানীদেরও রাখার কথা বলেছি৷ কেন্দ্রের উচিত এই প্রকল্পকে আর্থিকভাবে সাহায্য করা৷ বিহারবাসীর স্বার্থে এই সমীক্ষা করা হবে৷’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাইব পরের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ব্যাপারে বিল নিয়ে আসুক সরকার৷ তারপর নভেম্বর থেকেই কাজ শুরু করে দেওয়া হোক৷ তখন ছট পুজো থাকে৷ যাঁরা বাইরে থাকেন ওই সময় তাঁরা রাজ্যে ফিরে আসেন৷ ফলে প্রকৃত জনসংখ্যা জানা যাবে৷ তার আগে সমীক্ষার প্রস্তুতির কাজ এগিয়ে রাখুক সরকার৷’
আরও পড়ুন: RS Polls: রাজ্যসভায় ক্রস ভোটিং রুখতে হরিয়ানার বিধায়কদের ছত্তীশগড়ের রিসর্টে রাখছে কংগ্রেস