বেঙ্গালুরু: রাকেশ টিকায়েত৷ যাঁর আন্দোলনের চাপে নতি স্বীকার করে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল কেন্দ্র৷ অভিযোগ, সেই রাকেশ টিকায়েতকেই পড়তে হল বিক্ষোভের মুখে৷ একদল বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁর মুখে কালো কালি লেপে দেয়৷ মারামারি ও ভাঙচুরের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি৷ রাকেশ এই ঘটনার দায় চাপিয়েছেন কর্নাটকের বিজেপি সরকারের ঘাড়ে৷ কৃষক নেতার অভিযোগ, ষড়যন্ত্র করে তাঁকে অপদস্থ করা হয়েছে৷ কর্নাটক সরকার এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত৷ ঘটনাস্থলে পুলিসের কোনও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ছিল না বলেও অভিযোগ করেন তিনি৷
মিডিয়ার স্টিং অপারেশনে কর্নাটকের এক কৃষক নেতাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে৷ সোমবার সেই ঘটনার উপর বিবৃতি দিচ্ছিলেন রাকেশ টিকায়েত৷ একটি ঘরে সাংবাদিক সম্মেলন চলছিল৷ সেই সময় দলবল নিয়ে কয়েকজন লোক উপস্থিত হয় এবং সাংবাদিক সম্মেলনে বাধা দিতে থাকে৷ তাঁরা রাকেশ টিকায়েত এবং তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান৷ ক্রমে তা বাড়তে থাকে৷ এরপরই উত্তেজনার পারদ চরমে ওঠে৷ ওই একদল মানুষ তখন চেয়ার ছুড়ে কখনও মাটিতে আছাড় মারতে থাকে, কখনও বা অন্যপক্ষের দিকে তেড়ে যায়৷ ততক্ষণে ভেস্তে গিয়েছে সাংবাদিক সম্মেলন৷ সেই সময় ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ রাকেশ টিকায়েতের মুখে কালো কালি ছুড়ে মারে৷
किसान नेता राकेश टिकैत के ऊपर कर्नाटका में फेंकी गई स्याही।#rakeshtikait pic.twitter.com/HXPv1c8zMS
— Shakti Singh/शक्ति सिंह (@singhshakti1982) May 30, 2022
কৃষি আইন নিয়ে আন্দোলন মিটতেই রাকেশ টিকায়েতের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির ওঠা-বসা বেড়ে গিয়েছে৷ বিভিন্ন নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে খোলাখুলি সমর্থন জানিয়েছেন৷ যা অনেক কৃষকেরই পছন্দ হয়নি৷ ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের একটা অংশের অভিযোগ, রাকেশ টিকায়েত লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছেন৷ কৃষকদের সমস্যা সমাধানে তিনি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন৷ তাঁদের সমস্যার কথাও শুনতে চান না৷ এরপরই গত ১৫ মে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সহ সভাপতি রাজেশ চৌহান বিকেইউ(অরাজনৈতিক) নামে নতুন একটি সংগঠন তৈরির কথা ঘোষণা করেন৷ অন্যদিকে রাকেশের অভিযোগ, কেন্দ্র কৃষকদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে৷