ঢাকা: ৫, ১০, ১৬… সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে এখনই কেউ বলতে পারছে না৷ তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের কন্টেনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে জীবন্ত পুড়ে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ অগ্নিদগ্ধ কমপক্ষে ৪৫০ জন৷ যাদের মধ্যে অনেকের শরীরের ৬০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গিয়েছে৷ ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷
শনিবার রাত ১১টা৷ চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোতে আগুন লাগে৷ জানা গিয়েছে, ওই ডিপোতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড নামে বিপুল পরিমাণ দাহ্য রাসায়নিক ছিল৷ ফলে একের পর এক বিস্ফোরণে দ্রুত ছড়াতে থাকে আগুন৷ এলাকা ভরে যায় কালো ধোঁয়ায়৷ আরও দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল ও পুলিস৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে৷ কিন্তু জোরালো হাওয়া ও জলের অভাবে আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় তাদের৷ আগুন নেভাতে গিয়ে তিন দমকল কর্মীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে৷
১১ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি৷ বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর ১৫০-২০০ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে৷ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতকাল রাত ১১টার সময় কন্টেনারে আগুন লাগে৷ তারপর একের পর এক বিস্ফোরণে এলাকা কাঁপতে থাকে৷ বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল এতটাই যে আশেপাশের জানলার কাচ ভেঙে যায়৷ চার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত বিস্ফোরণ টের পাওয়া গিয়েছে৷
দুর্ঘটনার সময় কয়েকশো শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন৷ ফলে শতাধিক শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হন৷ এত বিপুল সংখ্যক অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসায় রবিবার চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করেছে হাসিনা সরকার৷ বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও আহতদের চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ ইতিমধ্যে সব হাসপাতালে আহতদের ভিড় উপচে পড়েছে৷ সেদেশের সংবাদমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে, জায়গার অভাবে কোথাও মাটিতে রেখেও চিকিৎসা হচ্ছে অগ্নিদগ্ধদের৷
আরও পড়ুন: Joe Biden: বাইডেনের সৈকতাবাসের আকাশে অচেনা বিমান, লুকোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট