মরক্কো–০, ৩ স্পেন–০, ০
শুধু পাস খেললেই হয় না। গোল করতেও জানা চাই। এই সরল সত্যটা মঙ্গলবার হাড়ে হাড়ে টের পেল একদা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন। সারা ম্যাচে একবারও গোলের মুখ খুলতে পারেনি লুই এনরিকের ছেলেরা। শেষ দিকে পাবলো সাবারিয়ার শট পোস্টে ধাক্কা খেল। বলতে গেলে এটাই একমাত্র সুযোগ স্পেনের। এত বড় একটা ফুটবল শক্তি, তাদের গোল করার লোক থাকবে না তা ভাবতেই কষ্ট হয়। ২০১০ সালে স্পেন যখন বিশ্ব কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় তখন তাদের গোল করার লোক ছিল দাভিদ ভিয়া কিংবা ফের্নান্দো টোরেস। তাও সেমিফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন সেন্টার ব্যাক কার্লোস পুওল। আর ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন মিডফিল্ডার ইনিয়েস্তা। এবারের স্পেনে না আছে কোনও ভিয়া, কোনও টোরেস। আর পুওল কিংবা ইনিয়েস্তা তো দূর অস্ত। তাই প্রথম ম্যাচে কোস্তা রিকার বিরুদ্ধে সাত গোল করে স্পেন যে দুর্দান্ত ফুটবল খেলার নজির রেখেছিল সে সবই উধাও হয়ে গেল মরক্কোর বিরুদ্ধে। এত ম্যাড়মেড়ে ফুটবল এবারের বিশ্ব কাপে খুবই কম দেখা গেছে। খেলা দেখতে দেখতে ঘুম পেতে বাধ্য।
আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর পরিবর্ত আনকোরা র্যামোসের হ্যাটট্রিক, সুইৎজারল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল পর্তুগাল
প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে নক আউট ম্যাচ। সেই ম্যাচে টাই ব্রেকারে গোল করার জন্য স্পেন নাকি হাজার হাজার শট প্র্যাক্টিস করেছিল। এই তার নমুনা। একটা শটেও গোল করতে পারল না স্পেন। সারা ম্যাচে ৭৪ শতাংশ বল পজেশন স্পেনের। খেলেছিল ৭৪৬টা পাস। কিন্তু মরক্কোর জমাট ডিফেন্স ভাঙতে পারেনি। আর টাই ব্রেকারে তাদের সামনে এভারেস্টের মতো দাঁড়িয়ে পড়লেন মরক্কো গোলকিপার ইয়াসিন বোনো। একটা নয়, তিনটে শট বাঁচালেন তিনি। স্পেনের ক্লাব সেভিয়াতে খেলেন তিনি। গত বছরের লা লিগার সেরা গোলকিপার। জানেন বিপক্ষের প্লেয়াররা কোথায় মারতে পারেন। মরক্কোর হয়ে গোল করলেন আব্দেলহামিদ সাবিরি, হাকিম জিয়াচ এবং আসরাফ হাকিমি। আর স্পেনের হয়ে পেনাল্টি শট মিস করলেন পাবলো সারাবিয়া, কার্লোস সোলার এবং সের্জিিও বুসকোয়েটস। স্পেনের গোলকিপার উনাই সিমন একটা শট বাঁচালেন বটে। তবে তা তাঁর টিমকে জেতাতে পারেনি। মরক্কো এবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে পর্তুগালের বিরুদ্ধে।