গরম জল বানাতে ইলেকট্রিক কেটলি চাই । এমনই বার্তা গেল জাপানের ভারতীয় দূতাবাসে। টোকিও অলিম্পিক গেমস ভিলেজে গরম জল পান করতে চান সব ভারতীয় প্রতিযোগী। কিন্তু ভিলেজে কোন ঘরে নেই এই ইলেকট্রিক কেটলি। তাই ১০০’র বেশি চাই এমন কেটলি। এবারের ভারতীয় দলের ডেপুটি চিফ দ্য মিশন প্রেম ভার্মা উদ্যোগ নিয়েছেন অবিলম্বে এই ব্যবস্থা প্রতিটি ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের ঘরে চালু করতে।
এই চাহিদা ছাড়া বাকি সব কিছুতে খুশি ভারতীয় শিবির। ভিলেজে যে খাওয়ার পাওয়া যাচ্ছে, তাতে সকলে খুশি। খুশি অলিম্পিক গেমস ভিলেজের যাবতীয় ব্যবস্থাপনায়।
গেমস ভিলেজের খবর:
আরও একটা ইস্যু ভাবাচ্ছে ভারতীয় শিবিরকে। গেমস ভিলেজের নিয়ম হচ্ছে, প্রতি তিনদিনের দিন অন্তর হাউসকিপিং স্টাফরা রুম পরিস্কার করতে আসছে। এই কোভিড পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই যা করে খুব জরুরি।
ভারতীয় দলের অধিকাংশ ক্রীড়াবিদরা গত রবিবার গেমস ভিলেজে পৌঁছে গেছেন। তাদের দু দিনের হোম কোয়ারান্টিনের পর্ব শেষ হয়েছে- সোমবারই। আজ মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে নেমে পড়ছেন সকলে।
ভারতীয় প্রশাসনিক কর্তাটি আরও জানিয়েছেন, গেমস আয়োজক কমিটি যাবতীয় সংক্রমন রুখতে তিনদিন অন্তর রুম পরিস্কার করার নিয়ম জারি হয়েছে। তবে কেউ চাইলে, রোজ হাউজকিপিং স্টাফদের জানিয়ে তাদের কাজে লাগাতে পারেন। বলা হয়েছে, টাওয়েল প্রতিদিন বদলে নিতে ক্রীড়াবিদরা ভিলেজের হাউসকিপিং ডিপার্টমেন্টে গিয়ে নিয়ে আসতে পারেন।
ফুড মুড :
দেশের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে কেউ কেউ জানিয়েছেন, গেমস ভিলেজের খাওয়া দাওয়া আর অনুশীলন ব্যবস্থায় তারা খুশি। আবার কেউ কেউ চাইছেন, ভারতীয় খাওয়ার আরও বেশি মাত্রায় থাকা দরকার। তবে ডাল – পরোটা বেশ সুস্বাদু – এটা জানা গেছে।
ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের বলা হয়েছে, ভারতীয় ডিশ খাওয়ার চেয়ে কন্টিনেন্টাল বা জাপানি ডিশ বেশি খেতে। মনে করা হচ্ছে, এইসব ভারতীয় ডিশ অনেকক্ষণ করে গরম করে তৈরি হচ্ছে না। যে ধরনের সি – ফুড ডিশ দেওয়া হচ্ছে, তা বেশ টাটকা। স্থানীয় ডিশও টাটকা পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সেক্স করলেই ভাঙবে খাট, অলিম্পিকে করোনা ঠেকাতে ভিলেজে কার্ডবোর্ডের বিছানা
দলের সঙ্গে থাকা কর্তারা জানিয়েছেন, এই ধরনের গেমস বিদেশের মাটিতে হলে সেখানকার আবহাওয়া – পরিবেশ ব্যবস্থা আর খাওয়া দাওয়া নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি থাকাই স্বাভাবিক। এখানে যে ভারতীয় ডিশ পাওয়া যাচ্ছে, তা যে নিজেদের দেশের মতো স্বাদের হবে না – এটা নিশ্চিত।
জানা গেছে, বিভিন্ন ধরনের খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। সামাজিক দূরত্ব ব্যপারটা সব সময় সচেতনভাবে সামলানো হচ্ছে। দুটি ফ্লোরে আছে ‘ডাইনিং হল’। প্রতিটি আসন ফাইবার গ্লাস দিয়ে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে।
ডেইলি কোভিড টেস্ট:
এবার সকল ক্রীড়াবিদ এবং অফিসিয়ালদের প্রতিদিন করোনা টেস্ট কিট দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকে তা ব্যবহার করে নিজেদের শারীরিক অবস্থার আপডেট করে নিচ্ছেন। এইসব নমুনা তারা আইওএ (IOA) মেডিক্যাল অফিসারদের কাছে জমা দিচ্ছেন অনুশীলন করতে যাওয়ার আগে।
ভারতীয় শিবির থেকে এই টেস্ট কিট আগাম ৫ দিনের জন্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আয়োজকরা প্রতি দিনেরটাই আগের দিন দিচ্ছে। প্রচুর মানুষের ভিড় এখন টোকিও গেমস ভিলেজে। তাই আগাম টেস্ট কিট পাওয়া যাচ্ছে না।
ছবি: সৌ-টুইটার