কলকাতা টিভি ওয়েবডেস্ক: তিরুঅন্তপুরমে হঠাত্ বৃষ্টি| বোর্ডের ভিজেডি নিয়মে বড় রান করেও জিততে পারল না বাংলা(Bengal Team)| নিয়মের প্যাঁচে ৮ রানে ম্যাচ জিতে নিল পদুচেরি| বিজয় হাজারে ট্রফির পরের রাউন্ডে পৌঁছনর পথটা কঠিন হয়ে গেল বঙ্গ ব্রিগেডের|
প্রথম ম্যাচে বরোদার বিরুদ্ধে জয়| পদুচেরির বিরুদ্ধে জিতলে পরের রাউন্ডের রাস্তাটা অনেকটাই প্রশস্ত হয়ে যেত বাংলার জন্য| সেই লক্ষ্য নিয়ে তিরুঅন্তপুরমের মাঠে নেমেওছিল বাংলা| কিন্তু ভাগ্য দেবতা সহায় ছিল না তাদের| তাই তো একসময় এগিয়ে থেকেও, নিয়মের গেড়োয় হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হল সুদাপ চট্টোপাধ্যায়দের|
টস জিতে প্রথমেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত বাংলা অধিনায়কের| তিরুঅন্তপুরমের পিচে প্রথম দিন থেকেই বাংলার কোচের মুখে একটাই কথা শোনা যাচ্ছিল| ২৫০ রান করতে পারলেই, ম্যাচ জয় কার্যত পাকা| শুরু থেকেই বাংলার এদিন লক্ষ্যও ছিল তেমনই|
ওপেনিংয়ে শ্রীবতস গোস্বামী ৪৫ রান করে শুরুটা ভালই করে দিয়েছিলেন| যদিও মিডল অর্ডার তেমন রান পায়নি| তবে বাংলার ২৫০ রানের গন্ডী টপকাতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি| শাহবাজের ৬০ বলে ৮৫ রানের দুরন্ত ইনিংসের সৌজন্যে বাংলা করে ২৬৪ রান| এবার দায়িত্ব বোলারদের ওপর|
বল হাতেও অবশ্য বাংলার দাপটই ছিল দেখার মতো| ৪২ রানের মধ্যে পদুচেরির ২ উইকেট তুলে নেয় তারা| তবে দেশপান্ডে ও ডোগরার পার্টনারশিপটাই সমস্ত হিসাব বদলে দেয়| ৫০ রানের পার্টনারশিপ করেন এই দুই ক্রিকেটার| যদিও তখনও যে ম্যাচের রাশ বাংলার হাতের বাইরে চলে গিয়েছে তা বলা চলে না|
কিন্তু হঠাত্ বৃষ্টি| খেলা বন্ধ হয়ে যায়| পদুচেরির রান তখন ১৩২/২| এরপরই শুরু হয়ে যায় হিসাব নিকাশ| ভিজেডি নিয়ম অনুযায়ী সেই সময় ৬ রানে এগিয়ে ছিল পদুচেরি| আর তাতেই নির্ধারিত হয়ে যায় খেলার ভাগ্য| হেরে যায় বাংলা|
আর এমন হারেই আফসোসের সুর বাংলা অধিনায়কের মুখে| সুদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা বড় রান করেছিলাম| ওদের দু উইকেট তুলেও নিয়েছিলাম তাড়াতাড়ি| কিন্তু একটা ভাল পার্টনারশিপ করে ফেলেছিল ওরা| এরপরই বৃষ্টিতেই সব শেষ| পুরো খেলা হলে হয়ত আমাদের দিকেই আসত ম্যাচের ফলাফল| লড়াইটা এবার অনেকটা কঠিন হয়ে গেল’|
আর হাতে রয়েছে তিনটি ম্যাচ| আগামী শনিবার তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে নামবে বাংলা| অন্তত দুটো ম্যাচ তো জিততেই হবে তাদের| যদিও কঠিন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত বঙ্গ ব্রিগেড|