কলকাতা: উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য ঘোষণার দাবি নিয়ে সরব হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা৷ শোরগোল পড়ে গেছিল রাজ্য রাজনীতিতে৷ মতামত নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়েছিল গেরুয়া শিবির৷ পৃথক রাজ্যের দাবি এক বাক্যে খারিজ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ সেই জন বার্লাকে কেন্দ্রে মন্ত্রীত্ব দিয়ে কী রাজ্যভাগেই সায় দিল মোদি সরকার? বার্লার মন্ত্রীত্ব নিয়ে কলকাতা টিভির সাংবাদিক দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করায় অস্বস্তিতে পড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷
সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়,
প্রশ্ন: রাজ্য থেকে ৪ জন সাংসদকে প্রতিমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ উত্তরবঙ্গক পৃথক রাজ্য করার দাবি জানিয়ছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ৷ জন বার্লাকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করে মোদি সরকার কী আসলে রাজ্যভাগের চক্রান্তকেই সমর্থন করলেন?
উত্তর: শুভেন্দু বলেন, “পৃথক রাজ্যের দাবি জন বার্লার ব্যক্তিগত অভিমত৷ রাজ্য বিজেপি দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে৷ কেন্দ্রে কে মন্ত্রী হবেন, কে হবেন না তা নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের ওপর৷ রাজ্য বিজেপির ওপর নির্ভর করে না৷ এর সঙ্গে আমাদের সিদ্ধান্তের কোনও সম্পর্ক নেই৷ রাজ্য থেকে ৪ জন প্রতিমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়ায় আমি খুশি৷”
প্রশ্ন: ৪জনকে প্রতিমন্ত্রী করা হলেও কেন একজনও পূর্ণমন্ত্রী পেল না বাংলা?
সুকৌশলই উত্তর এড়িয়ে যান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন,
উত্তর: “ইউ পি এ মন্ত্রিসভায় অনেকেই ছিলন যাঁদের পূর্ণমন্ত্রী করা হয়েছিল পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র কাগজ-কলমে পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। সে সময় আমিও সাংসদ ছিলাম। বর্তমানে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিমন্ত্রীদেরও কাজের সুযোগ ও ক্ষমতা দেন”।
এরপর আমাদের প্রতিনিধি প্রশ্ন করেন, ইউপিএ আমলে সাংসদ থেকেও কেন এর বিরোধীতা করেননি? বিব্রত বোধ করেই এই প্রশ্নের উত্তর দেননি শুভেন্দু অধিকারী৷
আরও পড়ুন: ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বার্লাকে মন্ত্রী করে দিলীপকে ‘বার্তা’ বিজেপির
উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা৷ তা নিয়ে দ্বন্দ্বে শুরু হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই৷ উত্তরবঙ্গের একটি বড় অংশের বিজেপি নেতৃত্ব সমর্থন করেছিল সাংসদক৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছিলেন বার্লার বক্তব্য৷ দিলীপের অবস্থানে সায় দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ আগামি দিনে রাজ্যভাগ ইস্যু বিজেপির মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠতে পারত৷ সেই জল্পনায় জল ঢালতেই কী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডা জন বার্লাকে মন্ত্রীত্ব দিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন?