কান্দি: মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানার এলাকার মণিগ্রামে পারিবারিক বিবাদের জেরে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বুধবার ধৃত দুই মহিলাকে কান্দি আদালতে পেশ করা হয়। ধৃত লালচেহারা বিবি ও সাহিদা খাতুনকে আদালতে তুলে পুলিস ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন জানায়। বিচারক ভাস্কর মজুমদার লালচেহারা বিবিকে ৪ দিনের পুলিস হেফাজত ও সাহিদা খাতুনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার দুপুরে কান্দি থানার মণিগ্রামে লালচাঁদ শেখ ও তাঁর স্ত্রী সেলিনা বিবির পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় লালচাঁদ শেখের ভাই জামিরুল শেখের। ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মণিগ্রাম। বাড়ি ভাঙচুর, আগুন ধরিয়ে দেওয়া ছাড়াও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত লালচেহারা বিবি ও সাহিদা খাতুনকে গ্রেফতার করে কান্দি থানার পুলিস।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নুরচাঁদ শেখের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী সেলিনা বিবির বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। মঙ্গলবার মামলা সংক্রান্ত কাজে কান্দি আদালতে যাচ্ছিলেন নুর। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই জামিরুল শেখ। যাওয়ার রাস্তাটি ছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ির সামনে দিয়ে। অভিযোগ, সেই সময়ে শ্বশুরবাড়ির দিক থেকে লোকজন বেরিয়ে এসে তাঁদের বেধড়ক মারধর করে।
এরপর নুরচাঁদ ফিরে গিয়ে আরও লোকজন ডেকে নিয়ে আসেন। দুপক্ষে শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। তাতে সেলিনা বিবি ও জামিরুল শেখ-সহ বেশ কয়েকজন জখম হন। গুরুতর জখম অবস্থায় জামিরুলকে প্রথমে কান্দি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় জামিরুল শেখের।