নয়াদিল্লি: ডিলিমিটেশন কমিশন জম্মু-কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাস চূড়ান্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এবার খুব তাড়াতাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটের ঘণ্টা বেজে যেতে পারে। ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে জম্মু-কাশ্মীরে কোনও নির্বাচিত সরকার নেই।
বৃহস্পতিবার কমিশনের দাখিল করা চূড়ান্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে সমান সংখ্যক বিধানসভা কেন্দ্র থাকবে। এই প্রথম সেখানে এমন অবস্থা চালু হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই প্রথম ৯টি আসন সংরক্ষিত রাখা হচ্ছে তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য।
মোট ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টি থাকবে জম্মুর এবং ৪৭টি কাশ্মীরের অধীনে। এর আগে কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছিল তাতে জম্মুতে ৩৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের কথা বলা হয়েছিল। তা নিয়ে বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল। আপত্তি ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেই আপত্তি মেনে নিয়েই কমিশন চূড়ান্ত রিপোর্টে জম্মুর ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৩টি করেছে। এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রই সংশ্লিষ্ট জেলার সীমানার মধ্যে থাকবে। এছাড়া পাক অধিগৃহীত জম্মু ও কাশ্মীর থেকে চলে আসা পরিযায়ীদের জন্য বিধানসভায় বাড়তি আসনের সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন: Marriage in Ukraine Hospital: ইউক্রেনের যুদ্ধের দিনগুলিতে ওকসানা আর ভিক্তরের প্রেম
ডিলিমিটেশন কমিশন ২০১১ সালের জনগণনার ভিত্তিতেই এই সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি কমিশন আসন পুনর্বিন্যাস করতে গিয়ে স্থানীয় মানুষ, রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে বারবার কথা বলেছে। তাদের বক্তব্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কমিশনের। এর আগে কমিশন যখন খসড়া রিপোর্ট প্রকাশ করে, তখন তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়। বিরোধীরা অভিযোগ করে, বিজেপিকে খুশি করতেই কমিশন এই পুনর্বিন্যাস করেছে। সম্প্রতি কাশ্মীরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সীমানা পুনর্বিন্যাস চূড়ান্ত হলেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হবে।