কলকাতা: উচ্চা শিক্ষা দফতরের নয়া উদ্যোগ৷ রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি ও ম্যানেজমেন্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে স্নাতকোত্তর ও ইন্টিগ্রেটেড কোর্সে ভর্তির জন্য ডিসেন্ট্রালাইজড বা বিকেন্দ্রকৃত কাউন্সেলিয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ই-কাউন্সেলিং শেষ হওয়ার পরে বাকি থাকা ফাঁকা আসন পূরনের জন্য ওই সিদ্ধান্ত উচ্চ শিক্ষা দফতরের। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সরাসরি ভর্তি হতে হবে পড়ুয়াকে। বিকেন্দ্রীকৃত কাউন্সেলিংয়ের জন্য জেইই মেইন ও রাজ্য জয়েন্টে সন্তোষজনক র্যাঙ্ক কার্ড পাওয়া বাধ্যতামূলক। রাজ্য জয়েন্টে র্যাঙ্ক কার্ড পাওয়া প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষা সর্বভারতীয় হওয়ার পর থেকে রাজ্যের পড়ুয়ারা ভিনরাজ্যের পড়ুয়াদের চাইতে ফলাফলের দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছিল। তাই রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভিনরাজ্যের পড়ুয়াদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছিল। ব্রাত্য হয়ে পড়ছিলেন এরাজ্যে পড়ুয়ারা। সেদিকে, তাকিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ডোমিসাইল এন্ট্রির পথে হাঁটে। যেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলিতে এরাজ্যে বিশেষ করে রাজ্য জয়েন্ট থেকে ৯০ শতাংশ পড়ুয়া ভর্তি হবে ও ১০ শতাংশ পড়ুয়া ভর্তি হবে ভিনরাজ্য থেকে। এবছরও সেই পদ্ধতিতেই চলবে ভর্তি প্রক্রিয়া। শুধু তাই নয়, কোর্সগুলিতে ভর্তি ক্ষেত্রে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন বা এআইসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান শাখায় ৪৫ শতাংশ নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক।
আরও পড়ুন-রাষ্ট্রীয় সম্মানে কন্নড় অভিনেতা পুনিত রাজকুমারকে বিদায় জানাবে কর্নাটক সরকারের
প্রসঙ্গতঃ রাজ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য ইতিমধ্যে কয়েক দফা ই-কাউন্সেলিং করে পড়ুয়া ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু দেখা যায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেশকিছু আসন ফাঁকা থেকে গিয়েছে। এরপরেই বিকেন্দ্রীকৃত কাউন্সেলিংয়ের কথা ঘোষণা করল উচ্চ শিক্ষা দফতর। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে ফাঁকা আসনে ভর্তি সম্পূর্ণ হলে, সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে আশাবাদী রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি।