কলকাতা: পুলিস পরিচয় দিয়ে শহর কলকাতায় ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তুলে অপহরণ। তবে এই অপহরণ-কাণ্ডে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে কলকাতা পুলিস। রাতভর তদন্ত চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই টালিগঞ্জ থেকে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পুলিস। দুষ্কৃতীরা ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে দেড় কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল পরিবারের কাছে। শেষে পুলিসের সঙ্গে দর কষাকষিতে মুক্তিপণের পরিমাণ ৩ লাখ টাকায় নেমে আসে। পরে পুলিসের পাতা ফাঁদে টালিগঞ্জ থেকে ধরা পড়ে ৬ অপহরণকারী। আটক করা হয়েছে আরও এক জনকে।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, পুলিসের স্টিকার মারা গাড়িতে অপহরণ করা হয়েছিল ওই ব্যবসায়ীকে। গাড়িটি আলিপুর থেকে রেজিস্ট্রার করা। রসকুঞ্জ বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা রঞ্জন চক্রবর্তীর নামে রেজিস্ট্রার করা হয় গাড়িটি। ওই গাড়ির মালিক ও চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অপহরণ-কাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিন সকালে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বেলা বাড়তে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে জিজ্ঞাসাবাদ জারি রেখেছে পুলিস।
পুলিস জানায়, বুধবার কসবার এক নামি শপিং মলের সামনে থেকে এক ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। শেখ কুতুবউদ্দিন গাজি নামে ওই ব্যবসায়ী বসিরহাটের ইঁটভাটার মালিক। বুধবার ব্যবসার কাজে কলকাতায় আসেন তিনি। ওইদিন রাত ৮টা নাগাদ মল থেকে বাইরে বেরোনোর সময় ঘটনাটি ঘটে। রাতের দিকে দেড় কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন যায় পরিবারের কাছে। ফোনের ওপার থেকে পুলিসের পরিচয় দিয়েই মুক্তিপণ চায় দুষ্কৃতীরা। পুলিসের দ্বারস্থ হয় পরিবার।
আরও পড়ুন: SC on Jahangirpuri: জাহাঙ্গিরপুরীতে ২ সপ্তাহের জন্য উচ্ছেদ বন্ধের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
অপহরণের ঘটনা কিনারা করতে রাতেই তৎপরতা শুরু হয়ে যায় লালবাজারে। পুলিশ কমিশনার (CP) বিনীত গোয়েল নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেন। অপহরণকারীদের সঙ্গে মুক্তিপণের দর কষাকষি শুরু করে পুলিস। দেড় কোটি থেকে ৩ লাখে নামিয়ে আনা হয় মুক্তিপণ। একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। শেষমেশ লালবাজার ও কসবা থানার যৌথ উদ্যোগে রাতভর তদন্তের পর এদিন সকালে টালিগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে।