নয়াদিল্লি: ভেন্টিলশনে যাওয়ায় আপতকালীন পরিস্থিতিতে জামিন চেয়েছিলেন৷ জামিন হল না৷ পুলিশি হেফাজতেই মৃত্যু হয় ভীমা কোরেগাঁও মামলায় (Bhima koregaon case) অভিযুক্ত যাজক স্ট্যান স্বামীর (Stan swamy)৷ পুলিশি হেফাজতে এই সমাজকর্মীর মৃত্যুতে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা৷ তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম, কংগ্রেস সহ বিরোধীদল এককাট্টা হয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন৷ একযোগ কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতারা৷ তদন্তের দাবি করেছেন তাঁরা। আইনের ফাঁদে পড়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই কেন হারিয়ে যেতে হল এই সমাজকর্মীকে? প্রশ্ন তুলেছেনবিরোধীরা।
জেলবন্দি অবস্থায় করোনা, পারকিনশনের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হন বছর ৮৪ এর স্ট্যান স্বামী৷ জেলবন্দি অবস্থায় শারীরিক পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হয়েছিল। ২৮ মে আদালতের নির্দেশে মুম্বইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রাখা হয় তাঁকে। হাসপাতালেই ৪ জুলাই শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। ৫ জুলাই মৃত্যু হয় তাঁর। স্ট্যান স্বামীর (Stan swamy)মুক্তি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন সমাজকর্মীরা। চিঠিতে সই করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর সহ সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিও।
আরও পড়ুন: বাংলার কোন মুখ মোদির মন্ত্রিসভায়?
তাঁর জামিনে চেয়ে জরুরিভিত্তিতে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেন স্ট্যান স্বামীর (Stan swamy) আইনজীবী। শুনানির পর ৬ জুলাই পর্যন্ত পিছিয়ে যায় রায়দান৷ আদালতে শুনানি চলাকালীন মুখবন্ধ খামে স্ট্যান স্বামীর মেডিক্যাল রিপোর্টে তাঁর মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছায়৷ ফুসফুসে সংক্রমণের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয় মেডিক্যাল রিপোর্টে৷ সূত্রের খবর, বন্দি অবস্থায় একাধিকবার পারকিনশন রোগে আক্রান্ত হন তিনি৷ চিকিৎসা জনিত কারণে তাঁর জামিনের আবেদন করা হলেও এনআইএ একাধিকবার আদালতে তার বিরোধিতা করে৷ ৩ দশকের বেশি সময় ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীদের আধিকারের দাবিতে লড়াই করেছেন স্ট্যান স্বামী৷ আদিবাসীদের জমি, জঙ্গল ও শ্রম এই তিন অধিকারের দাবি করেছিলেন তিনি৷ পরিবর্তে জুটেছিল ‘নকশাল’ তকমা৷ ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর গ্রেফতার হয়েছিলেন স্ট্যান স্বামী। ইউএসপিএ (USPA) আইনে এলগার পরিষদ মামলায় তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরও ১৫ জনকে৷ তাঁদের বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের মামলা রজু হয়৷ স্ট্যানের সঙ্গে মাওবাদী যোগ রয়েছে বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)৷ এরপর থেকেই অভিযুক্ত মহিলারা বাইকুল্লা জেলে ও পুরুষরা তালোজা জেলে বন্দি ছিলেন। আড়াই বছর কেটে গেলেও কোনও অভিযুক্তেরই দোষ প্রমাণিত হয়নি। একমাত্র ভারাভারা রাও ছাড়া জামিন হয়নি কারও৷