পাঁশকুড়া: দলীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল বঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে। রাজ্য সড়কের উপরে তাঁকে ঘিরে দেওয়া হল গো-ব্যাক স্লোগান। সমগ্র ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলকে তালিবানের সঙ্গে তুলনা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর সামনে জাতীয় পতাকার অবমাননা, সরব বিরোধীরা
রবিবার রাতের দিকে আক্রান্ত দলীয় কাউন্সিলরের বাড়িতে দেখা করে ফেরার পথে হামলা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের পেছনে থাকা বিজেপি সমর্থকদের ওপর। যদিও এলাকা ছেড়ে বেড়িয়ে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নেই বলে দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন- জনসংখ্যা কমায় লোকসভার আসনে কোপ, কেন্দ্রকে ৫ হাজার কোটির জরিমানা হাইকোর্টের
ঘটনাস্র সূত্রপাত গত শনিবার। ওই দিন বিজেপি কাউন্সিলর সুকুমার ভূঁইয়া দুয়ারের সরকার ক্যাম্পে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে গিয়ে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হন। যিনি পাঁশকুড়া পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। রবিবার শুভেন্দু অধিকারী রাতে দেখা করতে আসেন দলীয় সেই কাউন্সিলরের বাড়িতে।
আরও পড়ুন- তালিবানের নজর থেকে ছাত্রীদের বাঁচাতে নথি পোড়ালেন কাবুলের একমাত্র গার্লস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা
সেখান থেকেই ফেরার পথে তমলুক পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের চাপাডালির কাছে কতিপয় তৃণমূল কর্মীরা পথ আটকে গো-ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করে। তারপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কনভয়ের পেছনে থাকা গাড়ি গুলিতে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা অভিযোগ বিজেপির। সমগ্র ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “বাংলায় যা ঘটছে তা খুবই বিপজ্জনক।” রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করে তিনি ‘তৃণমূল-২’ বলেও দাবি করেন।
আরও পড়ুন- আধারের সঙ্গে রেশন কার্ডের লিঙ্ক করার নামে গ্রামবাসীর সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা, ধৃত যুবক