মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া নিয়ে মঙ্গলবার শুনানিতে অংশ গ্রহণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। কারণ এই অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন বিরোধী দলনেতা নিজেই। মঙ্গলবার এই নিয়ে তৃতীয়বার শুনানি হল। আজ বিধানসভায় আসার কথা ছিল মুকুল রায়ের। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি। পত্র মারফত বিধানসভার স্পিকারকে তা জানিয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়।
আরও পড়ুন : মুকুলের পিএসি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি ১০ অগাস্ট
আজ বিধানসভার স্পিকারের কাছে শুভেন্দু অধিকারী তার আইনজীবী ও দলীয় বিধায়ক অম্বিকা রায়কে নিয়ে স্পিকারের শুনানিতে অংশ গ্রহণ করেন। ১৩ মিনিটের শুনানি চলে বিধানসভার স্পিকারের ঘরে। শুভেন্দুর অভিযোগ, মুকুল রায় যে আবেদনপত্র স্পিকারের কাছে দিয়েছেন তা ত্রুটিপূর্ণ। মুকুল রায়ের আবেদনপত্রে তাঁর বয়স এবং তারিখ উল্লেখ করা নেই।
আরও পড়ুন : মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন শুভেন্দুর
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যদি আদালতের উপর ভরসা থাকে, সেখানে যে কেউ যেতে পারে। কিন্তু মুকুল রায় যে আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন, তা ত্রুটিহীন। তাই তাঁর আবেদন পত্র গ্রহণ করা হয়েছে এবং তাঁকে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : শিশিরবাবুর সাংসদ পদ খারিজের প্রশ্নে মুখে কুলুপ শুভেন্দুর
বিধায়ক পদ খারিজ হওয়ার নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক সম্মেলন করলেও সেখানে তাঁর পিতা, কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে একই অভিযোগ করা হয়েছে লোকসভার স্পিকারের কাছে। অর্থাৎ রাজ্য বিধানসভায় একজন বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে একদিকে বিধানসভা, অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টে ছুটোছুটি করছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁর পিতা শিশির অধিকারী ও তমলুকের সংসদ দিব্যেন্দু অধিকারির লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন শুভেন্দু। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করে বলা হয়েছে, ”আগে নিজের পরিবারের সদস্যদের সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলুন, তারপর অন্যের দিকে আঙ্গুল তুলবেন।”