কলকাতা: ঘোড়ায় চড়ে এলেন, কালো কাপড়ে চোখ বাঁধা। নিজের পরণে রয়েছে কালো পোশাক। ওই অবস্থায় পাশে ঘোড়া নিয়ে হাঁটছেন মদন মিত্র। মুখে রয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিরোধী স্লোগান। এই উপায়েই পেগাসাস কাণ্ডের প্রতিবাদ করলেন কামারহাটির বিধায়ক।
আরও পড়ুন- চুক্তিপত্রেই লুকিয়ে শিশুপাচারের রহস্য, বাঁকুড়াকান্ডে নয়া তথ্য সিআইডির হাতে
মদন মিত্র মানেই নতুন কিছু, আর খুব রঙীন। সবার থেকে আলাদা। নয়া কিছু চমক। যা আগেও দেখা গিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। নিজেকে সবার থেকে আলাদা করে মেলে ধরতে মদনের জুরি মেলা ভার। গায়ে নামাবলী চাপিয়ে পুজো করা থেকে শুরু করে কেত দেখিয়ে চোখে চশমা গলানো। তারপরে ধুতি পরে বিধানসভায় যাওয়া। এই সকল নানাবিধ কীর্তি রয়েছে মদনের ঝুলিতে।
আরও পড়ুন- দেশের মধ্যে পিছিয়ে বিহার, ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’ নিয়ে নীতীশকে খোঁচা আরজেডি-র
তেমনই অভিনব কাইয়দায় এবার পেগাসাস কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূলের দুর্দিনের সৈনিক। পেগাসাস কেলেঙ্কারি নিয়ে উত্তাল হয়েছে সংসদ। বাদল অধিবেশনের শুরু থেকে যা নিয়ে সংসদে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিরোধীরা। এবার সেই কেলেঙ্কারি নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র।
আরও পড়ুন- বিজেপি সাংসদকে ‘বিহারি গুন্ডা’ বলায় অভিযুক্ত মহুয়া, দুঃখিত তেজস্বী
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিল করেন মদন মিত্র। ঘোড়ায় চড়ে এসে চোখ বেঁধে মিছিলে হাঁটেন মদন মিত্র। মিছিলে হাঁটার সময়ে চোখ বেঁধে রেখেছিলেন কালো কাপড়ে। আর মদন মিত্রের পাশে ছিল সেই ঘোড়াটি। সেই ঘোড়াটির গলায় ঝোলানো একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল পেগাসাস।
এই অভিনব প্রতিবাদের বিষয়ে মদন মিত্র বলেছেন, “এই ঘোড়ার নাম রানি। রানি অর্থাৎ লোকতন্ত্র। পেগাসাস লোকতন্ত্রের উপর আঘাত হেনেছে। এই সরকার উড়ন্ত ঘোড়ার মত পেগাসাসের বীজ ছড়িয়ে দিচ্ছে।” সেই সঙ্গে কামারহাটির বিধায়ক আরও বলেছেন, “এখন কেন্দ্রীয় সরকার স্বামী-স্ত্রীর ঘরেও আড়ি পাতছে। রেকর্ড হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনও।” এদিনের মিছিলে জ্বালানী তেল এবং রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও সরব হন মদন মিত্র।