মুম্বই: এবার ভারতে খোঁজ মিলল করোনার নতুন স্ট্রেন ‘XE’-এর। মুম্বইয়ের এক মহিলা করোনার এই অতি সংক্রামক স্ট্রেনে (New Covid Variant XE) আক্রান্ত হয়েছেন বলে কোনও কোনও মহল জানিয়েছে। যদিও আদৌ ওই মহিলা এই স্ট্রেন আক্রান্ত কি না, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দ্বিমত দেখা গিয়েছে। করোনা পর্বে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়ে গঠিত সংস্থা INSACOG-এর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওই মহিলার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে তার সঙ্গে ‘XE’ ভ্যারিয়েন্টের (XE Variant) সম্পর্ক এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বৃহন্মুম্বই পুরসভা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ওই মহিলার তেমন কিছু উপসর্গ দেখা যায়নি। ৫০ বছর বয়সি ওই মহিলা পেশায় ডিজাইনার। কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছেন তিনি। ২ মার্চ তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ (Covid-19) আসে। জিনোম সিকোয়েন্স করে দেখা যায়, তিনি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘XE’ স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি পুরসভার।
India's first case of the #XEVariant of the coronavirus reported in Mumbai today.
Results of the 11th genome sequencing declared by the city civic body BMC, found one sample positive for XE variant and another for #Kappa variant.#COVID19 pic.twitter.com/awGyOJXsAM
— All India Radio News (@airnewsalerts) April 6, 2022
পুরসভা জানিয়েছে, মঙ্গলবার মুম্বইয়ের মোট ২৩০ জন করোনা আক্রান্তের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। যাদের মধ্যে ২২৮ জনের শরীরে করোনার সাধারণ স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে। একজনের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্টে কাপ্পা স্ট্রেন ধরা পড়েছে। আর একজন রোগীর শরীরে ‘XE’ ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। INSACOG-এর বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই ভ্যারিয়েন্ট যে ‘XE’, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ধরা পড়েছে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘XE’। বিজ্ঞানীদের মতে, করোনার এই নতুন মিউটেন্ট ওমিক্রনের ‘BA.2’ উপ-ভ্যারিয়েন্টের (Omicron BA2) তুলনায় প্রায় দশ শতাংশ বেশি সংক্রামক।
আরও পড়ুন: Amit shah: বাংলায় যাবেন না গেলেই খুন হয়ে যাবেন: শাহ, পালটা দিল তৃণমূল
করোনা ভাইরাসের (Covid-19) ওমিক্রন-পর্ব পেরিয়ে, লোকজন যখন ক্রমশ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে, তখন ফের একের পর এক নতুন ভ্যারিয়েন্টের দেখা মিলছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনের দুটি সাব ভ্যারিয়েন্ট BA.1 এবং BA.2 মিলিত হয়ে নতুন স্ট্রেন ‘XE’ তৈরি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যতক্ষণ না সংক্রমণের হার বাড়ছে এবং উল্লেখযোগ্য উপসর্গ ধরা পড়ছে, ততক্ষণ এটিকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট হিসেবেই ধরা হবে।