চন্ডীগড়: মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই নভজ্যোত সিং সিধুকে (Navjot Singh Sidhu) চোখা চোখা ভাষায় আক্রমণ করলেন অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)৷ প্রাক্তন ক্রিকেটারকে দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপদ বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার ভঙ্গিমায় বলেন, এমন লোককে কিছুতেই পঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রীর পদে মেনে নেব না৷ শেষ পর্যন্ত আমি এর বিরোধিতা করে যাব৷
শনিবার বাংলার মত পঞ্জাবের রাজনীতিতেও নতুন টুইস্ট দেখা গিয়েছে৷ বিধানসভা ভোটের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অমরিন্দর সিং৷ বিকালে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র দিয়ে আসেন৷ তার পর থেকেই সিধুর বিরুদ্ধে সপ্তমে সুর চড়িয়েছেন প্রাক্তন সেনা অফিসার৷ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে পঞ্জাব কংগ্রেসের ক্যাপ্টেন বলেন, ‘ও একটা অযোগ্য লোক৷ আমার সরকারের দুর্যোগ ছিল৷ একটা দফতরও ঠিক করে চালাতে পারেনি৷ সাত মাস ধরে একটা ফাইলে সই পর্যন্ত করেনি৷’
পরবর্তী পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সিধুর নামও শোনা যাচ্ছে৷ আর এই নামে তীব্র আপত্তি রয়েছে অমরিন্দরের৷ তিনি বলেন, ‘দেশের স্বার্থে পঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী পদে সিধুর নামের বিরোধিতা করব৷ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ওঁর বন্ধু৷ পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক সিধুর৷’ প্রশ্ন ওঠে, এতকিছুর পরেও তিনি কি আর কংগ্রেসে থাকবেন? উত্তরে সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটার উত্তর এখন দিতে পারব না৷’
তিন দশকের বেশি সময় ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ৭৯ বছর বয়সী অমরিন্দর৷ কংগ্রেস এবং গান্ধী পরিবারের প্রতি সবসময় আনুগত্য দেখিয়েছেন তিনি৷ কিন্তু গত দু’মাসে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের আচরণে তিনি তিনবার অপমানিত বোধ করেছেন৷ ইস্তফা দেওয়ার পর রাজভবনের গেটে সাংবাদিকদের ক্যাপ্টেন বলেন, ‘গত দু’মাসে কংগ্রেস নেতৃত্ব আমাকে তিনবার অপমান করেছে৷ এর আগে দিল্লিতে দু’বার বিধায়কদের ডাকা হয়েছিল৷ তার পর আজ চন্ডীগড়ে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়৷ আমার যোগ্যতা নিয়ে কোনও রকম সংশয় তৈরি হলে তাতে আমি অপমানিত বোধ করি৷ আর এখন কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের আমার প্রতি কোনও আস্থা নেই৷ তাদের মনে হয়েছে আমি এই পদের উপযুক্ত নই৷ কিন্তু তারা যেভাবে বিষয়টা মেটানোর চেষ্টা করল তাতে আমি অপমানিত হয়েছি৷’ এদিন সকালে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁর৷ তখন সোনিয়া অমরিন্দরের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন বলে জানান অমরিন্দর৷