দিল্লি: পেগাসাস ইস্যুতে একাধিকবার বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভার বাদল অধিবেশন। বুধবার অধিবেশনের শুরুতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য লোকসভা মুলতুবি করে দেওয়ার ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। রাজ্যসভায় তিনটি কৃষি আইনের বিরোধীতায় মঙ্গলবার তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিরোধীদলের সাংসদরা। চেয়ারম্যানের টেবিলে উঠে বিধিনিয়ম সংক্রান্ত কাগজ,ফাইল ছুড়তে থাকেন সাংসদরা। বুধবার অধিবেশনের শুরুতে বিরোধীদের আচরণ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগ প্রকাশ করে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়াম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু জানান, বিরোধীদের আচরণে তিনি ব্যথিত হয়েছেন। এই ঘটনার দুঃখে সারারাত তিনি বিনিদ্র কাটিয়েছেন। মঙ্গলবার কেন্দ্রের কৃষি আইনি নিয়ে দীর্ঘতর সময় আলোচনা চেয়ে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। তাদের দাবি, ওই ইস্যুতে আলোচনার জন্য কেন কম সময় দেওয়া হল? প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী সাংসদেরা।
আরও পড়ুন:আগামী বছর ১৫ অগস্টের মধ্যে কাজ শেষ হবে দেশের নতুন সংসদ ভবনের
চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় রাজ্যসভায়। সেই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বেঙ্কাইয়া নাউডু বলেন, বিশৃঙ্খলা করে সরকারকে নিজেদের ইচ্ছে মতো চলতে বাধ্য করতে পারে না। বিরোধীদের আচরণ সংসদের পবিত্রতা নষ্ট করছে। বুধবার সকালে এই ইস্যুতে একটি বৈঠকও ডেকেছিলেন বেঙ্কাইয়া নাইডু। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ, পীযূষ গোয়েলের মতো নেতারা। অধিবেশন শুরুর আগেই সেই বৈঠক হয়। অন্যদিকে সংসদে এদিন বিরোধীদের অবস্থান কী হবে সেই বিষয়ে বৈঠকে বসে বিরোধীদলগুলি। বৈঠকে কংগ্রেস ছাড়াও উপস্থিত ছিল তৃণমূল, সিপিআইএম, ডিএমকের সাংসদরা। বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য লোকসভা মুলতুবি ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। এদিন রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোনও ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গেলেই বাধা দেওয়া হয় বিরোধীদের। কথা বলতে গেলেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ করা হয়। বুধবার ফের পেগাসস ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখায় বিরোধীরা। বিরোধীদের কাগজ ছোড়া ও সংসদের মধ্যে বিক্ষোভের নামে অশান্তি কারার ঘটনায় কড়া বার্তা দেন।লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। রাজ্যসভায় ওবিসি বিল পাশ হয়ে যাওয়ার পরেই অধিবেশন স্থগিত করে দেন ভাইস চেয়ারম্যান।