লখনউ: উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০০ শতাংশ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সোমবার শ্রাবস্তী জেলা থেকে ‘স্কুল চলো অভিযান’ চালু করবেন। এটি প্রাথমিক শিক্ষার ভবিষ্যত এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারের একটি প্রচেষ্টা বলে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, যে সমস্ত জেলায় সাক্ষরতার হার কম সেইসব জেলাকে গুরুত্ব দিতে হবে। ওই সব জেলাগুলিতে ‘স্কুল চলো অভিযান’ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত এবং রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিকে আরও ভাল সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সু-সজ্জিত করা উচিত।
‘স্কুল চলো অভিযান’ শুরু করা হচ্ছে শ্রাবস্তী জেলা থেকে। যেখানে রাজ্যের সর্বনিম্ন সাক্ষরতার হার রয়েছে। বাহরাইচ, বলরামপুর, বদাউন এবং রামপুর ইত্যাদি জেলাতে বেশি নজরদারি চালানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ জানান, সরকারি স্কুলগুলিকে অবশ্যই ‘অপারেশন কায়াকল্প’র মাধ্যমে সমস্ত লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। যার লক্ষ্য স্কুলগুলিকে একটি নতুন রূপ দেওয়া। মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের বলেন, শুধুমাত্র জনপ্রতিনিধিরা ‘স্কুল চলো অভিযান’-এর সঙ্গে যুক্ত হবেন না। আধিকারিকরাও অংশ নেবেন। তবে, প্রায় প্রতিটি বিধায়কদের অবশ্যই একটি করে স্কুলকে দত্তক নিতে হবে।
পাশাপাশি আধিকারিকদেরও তাদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য স্কুলগুলি গ্রহণ করা উচিত। আদিত্যনাথের আরও নির্দেশ, সমস্ত সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য শৌচাগার, পানীয় জল, আসবাবপত্র এবং স্মার্ট ক্লাসের মতো মৌলিক সুবিধা প্রদান করতে হবে। ডিপার্টমেন্টাল অফিসারদের অবশ্যই প্রাক্তন ছাত্রদের (সরকারি স্কুলের) এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে সরকার-চালিত স্কুলের রূপান্তরের জন্য প্রচার চালাতে হবে।
আরও পড়ুন-Abhishek Banerjee: বৃহস্পতিবার বাবুলের সমর্থনে বালিগঞ্জে রোড শো অভিষেকের
সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিতে এবং সমস্ত সরকার পোষিত স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে মৌলিক শিক্ষা বিভাগকেও নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ক্যাম্পেইনের আওতায় শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম এবং জুতা ও মোজা প্রদান করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।