বালেশ্বর: বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে গোটা দেশজুড়ে। প্রথমে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) লাইনচ্যূত হয়ে পাশের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িকে (Goods Train) ধাক্কা মারে। যার জেরে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি কামরা গিয়ে পড়ে পাশের ডাউন লাইনের উপরে। সেই সময় ওই লাইন দিয়ে আসছিল ডাউন বেঙ্গালুরু- হাওড়া এক্সপ্রেস। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বেলাইন হওয়া কামরার সঙ্গে ধাক্কা লেগে সেই ট্রেনটিরও দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। এখনও পর্যন্ত এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত কমপক্ষে ৯০০। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার রাত থেকেই শুরু হয়েছিল উদ্ধারকাজ। শনিবার রাতে রেলের তরফে জানানো হয়, উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। এবার শুরু করা হয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেলের কামরাগুলি সরানো ও রেললাইন মেরামতির কাজ। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) গতকাল রাতেই জানিয়েছিলেন, বুধবার সকালের মধ্যে ওই রুটে রেল পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রবিবার সকালেও সংস্কারকাজ খতিয়ে দেখতে দুর্ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব। সেখানে তিনি বলেন, “দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকালই দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছেন। উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে, আজ আমরা রেল ট্রাক সংস্কারের কাজ করব। সমস্ত দেহ সরানো হয়েছে। বুধবার সকালের মধ্যে এই ট্রাকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ এই রুটে বহু ট্রেন যাতায়াত করে, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে বহু যাত্রী সমস্যায় পড়ছেন।”
শুক্রবার দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই শোক প্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব। শনিবার ভোরেই তিনি বালেশ্বরের বাহানগায় দুর্ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন। দিনভর উদ্ধারকাজের তদারকি করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী, সকলকেই দুর্ঘটনাস্থল ঘুরিয়ে দেখান তিনি। আহতদের যাতে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়, তাও নিশ্চিত করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করেন।