আগরতলা: শনিবারের পর রবিবার৷ ত্রিপুরায় ফের আক্রান্ত তৃণমূল৷ দলের নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে৷ অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ইট-লাঠি মেরে তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে দেয়৷ আক্রান্ত হন তিনি৷ অভিযোগ জানাতে খোয়াই থানায় গিয়েছেন সুবল ভৌমিক৷
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় কুণাল ঘোষ বলেন, ‘জঙ্গলরাজ চলছে৷ আদালতে যাওয়ার পথে আমাদের চারটে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে৷ দুটো আইনজীবীর, একটি সুবল ভৌমিক এবং অন্য এক নেতার গাড়িতে হামলা হয়েছে৷ চারপাশে বাইক বাহিনি ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ পুলিশ নীরব দর্শকের মত দাঁড়িয়ে৷ গোটা এলাকা ঘিরে রয়েছে গুন্ডারা৷ মাঝে মাঝে তারা বেরিয়ে আসছে৷ হামলা করছে৷ আদালতও নিরাপত্তা নেই৷ আদালত চত্বরেও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে৷’
আরও পড়ুন: আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধৃত তৃণমূল নেতাদের, থানাতেই অবস্থান অভিষেকের
This is the reality of the tyrannical rule of @BjpBiplab!
Institutions of justice are completely CAPTURED by the goons of @BJP4Tripura!
Our spirit is becoming STRONGER & LOUDER with every illegitimate attack meted out against us! We shall fight on! #TripuraDeservesBetter pic.twitter.com/8i3iG092L0
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) August 8, 2021
মহামারি আইন অমান্যের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের ১১ জন নেতা-কর্মীকে৷ ধৃতদের মধ্যে আছেন সুদীপ রাহা, দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত৷ গ্রেফতারের পর রবিবার ভোরে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় খোয়াই থানায়৷ তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার সকালে বিপ্লব দেবের রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিমানবন্দর থেকে তিনি সটান হাজির হন খোয়াই থানায়৷
আরও পড়ুন: সোমবার সংসদে ত্রিপুরা ইস্যুতে সরব হবে তৃণমূল
থানায় ঢোকার মুখে ফের তাঁকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ৷ তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন৷ বিক্ষোভ ঠেলে অভিষেক থানার ভেতরে নিয়ে যান৷ কোন আইনে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হল তা জানতে চান অভিষেক৷ প্রশ্ন তোলেন, মহামারি আইন কী তৃণমূলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? তিনি বলেন, ‘যাঁরা কালো পতাকা দেখাল তাঁদের জন্য মহামারি আইন প্রযোজ্য নয়৷ তাদের বিরুদ্ধে কেন এই আইন লাগু হবে না? আমরা ত্রিপুরায় এসেছি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে৷ শাসনের আইন চলবে না৷ আইনের শাসন চলবে৷’ ধৃত তৃণমূল নেতাদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু অভিষেক ঠিক করেছেন, তিনি থানাতেই থাকবেন৷