চণ্ডীগড়: দুর্ব্যবহার ওয়ার্ডেনের। এ কারণেই পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে গার্লস হস্টেলের ওয়ার্ডেনকে বদলির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া এবং পঞ্জাব স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। এনএসইউআই এবং পিএসইউ সহ ছাত্র সংগঠনের সদস্যরাও এর প্রতিবাদে ধরনায় বসেন। সেই ধরনাকে ঘিরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এবিভিপি সমর্থকদের সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। ধরনা তুলতে এলে পুলিশের সঙ্গে ফের ছাত্রদের হাতাহাতি হয়।
অভিযোগ উঠেছে, পুলিস ধরনারত পড়ুয়াদের মারধর করে। সেই মারধরে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তবে ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পুলিস অফিসাররা ধরনায় বসা ছাত্রদের টেনে হিঁচড়ে বার করে দিচ্ছে। এমনকী চুল ধরে মারতেও দেখা গিয়েছে। উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটকও করেছে পুলিশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের ডিএসপিসহ পদস্থ অফিসাররা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। তাঁরা পড়ুয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলেন। তবে বৃহস্পতিবার সকলে অবশ্য আটক করা নেতা-কর্মীদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: Dawood Ibrahim: দাউদ ইব্রাহিমের মাথার দাম ২৫ লক্ষ, ঘোষণা এনআইয়ের
এদিকে, ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ার এক নেতা শচীন গালভ হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, দাবি পূরণ না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে। এবিভিপি সভাপতি অমিত পুনিয়া বলেছেন, ছাত্রদের দাবির বিষয়ে আমরা একটি স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছিলাম। তা বানচাল করতে এনএসইউআই বিক্ষোভ শুরু করে। তারা এবিভিপির মহিলা সমর্থকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করে। তার প্রতিবাদ করতে গেলেই গোলমাল শুরু হয়।