পটনা: দেশের সেনাবাহিনীতে স্বল্পমেয়াদে নিয়োগের প্রস্তাবিত সরকারি প্রকল্পের তুমুল বিরোধিতা চলছে বিহারে৷ শনিবার বনধের দিনেও অশান্ত রইল মগধভূম৷ এদিনও বিক্ষোভকারীরা ট্রাকে-গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারে৷ কোথাও কোথাও পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধেও জড়ায়৷ সব মিলিয়ে আন্দোলনের চতুর্থদিনেও অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় হিংসা অব্যাহত৷
মঙ্গলবার অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণার পর থেকেই বিহারে প্রথম এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়৷ পরে তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন রাজ্যে৷ গত কয়েক দিন বিহারের বিস্তীর্ণ অংশে ট্রেন-বাস জ্বালানো, রাস্তা অবরোধ, পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষের মতো বহু ঘটনা ঘটেছে৷ অগ্নিপথ আন্দোলনে বিপর্যস্ত রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট, মোবাইল এবং টেলিফোন পরিষেবা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিহার প্রশাসন দু’দিনের জন্য রাজ্যের ১২টি জেলায় এই পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে দেয়।
তাতেও বাগে আনা যাচ্ছে না আন্দোলন৷ শনিবার রাজ্যে বনধের ডাক দেয় কয়েকটি যুব সংগঠন৷ বনধকে সমর্থন করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল আরজেডি-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি৷ তারাও বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে রাস্তায় নামে৷ কিন্তু, বনধের দিনেও হিংসা অব্যাহত রাজ্যে৷ এদিন জেহানাবাদে অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় আন্দোলনকারীরা ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ তেহতা, মুঙ্গেরের মতো জায়গাগুলিতে ছড়ায় বিক্ষোভ৷ মুঙ্গেরের তারাপুরে বিডিও অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারীরা৷ সেখানে সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করে তারা৷ বনধ উপেক্ষা করেই ছাত্র-ছাত্রীরা মুঙ্গেরে রাস্তায় নেমে অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা করে৷ জেহানাবাদে পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারে আন্দোলনকারীরা৷ পাথরের আঘাতে জখম হন কয়েকজন পুলিসকর্মী৷ হিংসা ছড়ায় মির্জাপুর, পাটনাতেও৷
আরও পড়ুন: Kabul Blast: কাবুলে গুরুদ্বারে জঙ্গি হানা-বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ২