নয়াদিল্লি: সাম্প্রতিক কালে দেশে কোথাও অনাহারে মৃত্যু হয়নি বলে সু্প্রিম কোর্টে (Supreme Court) দাবি করল কেন্দ্র। এমনকী অতিমারির দিনগুলিতেও দেশের কোনও রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর খবর নেই। সুপ্রিম কোর্টের এক প্রশ্নে কেন্দ্রের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। কেন্দ্র এ নিয়ে শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার পরেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে বলা হয়েছে, স্বাধীন ভারতে কেন্দ্র ও রাজ্যের বেশকিছু সদর্থক পদক্ষেপের কারণে বিগত দিনগুলিতে দেশে অনাহারে মৃত্যু বন্ধ হয়েছে (hunger deaths)। এমনকী অতিমারির মতো বিরূপ পরিস্থিতিতেও দেশে অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি (starvation deaths)।
কেন্দ্রের এই দাবিতে সন্তুষ্ট নয় সুপ্রিম কোর্ট। অনাহারে মৃত্যু যে হয়নি, তার সমর্থনে কেন্দ্রের কাছ থেকে বিশদ তথ্য-পরিসংখ্যান চায় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে। বেঞ্চের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি এএস বোপানা ও হিমা কোহলি।
আরও পড়ুন : Covid Compensation: করোনায় মৃতদের ক্ষতিপূরণে না ! বিহার-অন্ধ্রের মুখ্যসচিবকে তলব সুপ্রিম কোর্টের
আদালতে কেন্দ্রের প্রতিনিধি অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে ভেনুগোপালের উদ্দেশে সুপ্রিম বেঞ্চ প্রশ্ন করে, ২০১৫-২০১৬-র রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে, কী করে এমনটা দাবি করা হচ্ছে? বিভিন্ন সংবাদপত্রে এ নিয়ে রিপোর্টেরও উল্লেখ করা হয়।
প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, দেশে যে অনাহারে মৃত্যু নেই, এটা আমরা বুঝব কী করে? অনাহারে মৃত্যু নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের সর্বশেষ তথ্য-পরিসংখ্যান কোথায়? দেশে অনাহারে মৃত্যু সম্পর্কিত কেন্দ্রের কাছে কোনও সমীক্ষা রিপোর্ট আছে কি না, আদালত তা-ও জানতে চায়। কেন্দ্রের প্রতিনিধি ভেনুগোপালের কাছ থেকে এ সম্পর্কিত রিপোর্ট তলব করে সুপ্রিম বেঞ্চ। জবাবে, অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকেরাই জানিয়েছেন, কোথাও অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। কেন্দ্রের ১৩১টি খাদ্য সংক্রান্ত প্রকল্প চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। কেন্দ্রের দাবি, দুঃস্থদের কথা ভেবে কমিউনিটি কিচেনের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করা হয়। কমিউনিটি কিচেন চালাতে রাজ্যগুলিকেও অর্থ বরাদ্দ করে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন :Oldest Man: বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির ১১৩ বছর বয়সে মৃত্যু
এই মামলার পিটিশনার আইনজীবী অসীমা মণ্ডল বলেন, মৃতদেহের অটোপসি ছাড়া অনাহারে মৃত্যু নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। দু-সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের কাছে অনাহার ও অপুষ্টি সংক্রান্ত বিশদ রিপোর্ট চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।