চন্ডীগড়: দলিত যুবক খুনের ঘটনায় আরও দুই নিহাঙ্গকে আটক করেছে হরিয়ানা পুলিশ৷ তদন্তে জানা যায়, ওই দিন খুনের ঘটনার সঙ্গে এরাও জড়িত ছিল৷ তাদের জেরার জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে জেরা৷ সূত্রের খবর, যে কোনও সময় গ্রেফতার হতে পারে দু’জন৷ তখন এই ঘটনায় মোট গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হবে ৪ ৷
আরও পড়ুন: ‘কোনও অনুশোচনা নেই’, হাত-পা কেটে দলিত যুবক খুনে অভিযুক্তের পুলিশ হেফাজত
গত শুক্রবার পুলিশ সর্বজিৎ সিংকে গ্রেফতার করে৷ আজ তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন৷ অমৃতসর (গ্রামীণ)-এর পুলিশ সুপার রাকেশ কৌশল জানিয়েছেন, হাত-পা কেটে লখবীরকে খুনের কথা স্বীকার করেছে সর্বজিৎ৷ গুরু গ্রন্থ সাহিবের অপমানের কথা জানতে পারার পরই লখবীরের উপর চটে লাল হয়ে গিয়েছিল সে৷ তার পর ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর হাত ও পা কেটে দেয়৷
সর্বজিৎ ছাড়াও সেদিন আরও অনেকে খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ তাঁদের একজন ছিলেন নারায়ন সিং৷ খুনের পরই সে পালিয়ে যায়৷ তাঁকে খুঁজতে খুঁজতে হরিয়ানা পুলিশ তাঁর গ্রামে যায়৷ ওই গ্রামের গুরুদ্বারা থেকে ধরা হয় নারায়নকে৷ তাঁকে পঞ্জাব পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ এরই মধ্যে জানা যায়, পুলিশ আরও দুই নিহাঙ্গকে আটক করেছে৷
আরও পড়ুন: পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে জনজাগরণ অভিযানে নামবে কংগ্রেস
এদিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে লখবীরের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় আজ৷ যদিও কোনও শিখ পুরোহিত লখবীরের শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন না৷ যায়নি গ্রামের কোনও মানুষ৷ কেবলমাত্র বাড়ির ১২ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন৷ পরিবারের দাবি, লখবীর ধর্মগ্রন্থের অপমান করতে পারে না৷ খুনের পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা৷