নয়াদিল্লি: বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে বিজেপির বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিতে চলেছে কংগ্রেস৷ কেন্দ্রের শাসক দলের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে জনজাগরণ অভিযান শুরু করবে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি’৷ শনিবার তারই নীল নকশা তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের কার্যকরী কমিতির বৈঠকে৷ বৈঠকের পর কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরযেওয়াল এবং সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল জানান, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে তুলতে আগামী নভেম্বর থেকে দেশজুড়ে জনজাগরণ কর্মসূচি শুরু করবে কংগ্রেস৷
আরও পড়ুন: সভাপতি পদে ফেরার কথা বিবেচনা করতে রাজি রাহুল
সেই লক্ষ্যে কার্যকরী কমিতির বৈঠকে তিনটি প্রস্তাব পাস হয়েছে৷ এই তিনটি প্রস্তাবকে সামনে রেখে সরকার বিরোধী প্রচারে ঝাঁপাবে কংগ্রেস৷ যার প্রথমেই আছে কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন৷ গত বছর থেকে শুরু হওয়া কৃষক আন্দোলনকে প্রথম থেকেই সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস৷ রাহুল গান্ধী বারবার বলেছেন, কৃষকদের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে এই আইন দেশের কয়েকজন কর্পোরেটদের সুবিধা করে দেবে৷ তাই কৃষকদের পাশে আছে কংগ্রেস৷ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কে সি বেণুগোপাল বলেন, কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে৷ এছাড়া লখিমপুরে যা ঘটেছে আমরা মনে করি সেটা কৃষকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা মাত্র৷’
আরও পড়ুন: ২৫০ কোটি প্রকল্পের উদ্বোধনে আগামী মাসে কেদারনাথে মোদি
মোদি জমানায় জাতীয় সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের৷ শুধু তাই নয়, দেশের অভ্যন্তরের নিরাপত্তাও নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেতারা৷ কে সি বেণুগোপাল জানান, এক বছর পরেও চীনকে ডোকালাম থেকে সরানো যায়নি৷ কাশ্মীরে সন্ত্রাস মাথাচাড়া দিচ্ছে৷ জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন জওয়ানরা৷ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাব্যবস্থা চিন্তা বাড়াচ্ছে৷ সম্প্রতি সীমান্ত নিয়ে অসম এবং মিজোরাম পুলিশের সংঘর্ষ সেটাই প্রমাণ করেছে৷ পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে৷ সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফকে আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিমি এলাকার মধ্যে তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত এবং গ্রেফতারের অধিকার দেওয়া হয়েছে৷ এটা সংশ্লিষ্ট সরকারের অধিকারকে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা বলে মনে করে কংগ্রেস৷
আরও পড়ুন: নিলামে ডারউইনের অনুবীক্ষণ
এই সব কারণকে সামনে রেখে আগামিদিনে দেশজুড়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলবে কংগ্রেস৷ আগামী ১ নভেম্বর থেকে মেম্বারশিপ ড্রাইভ শুরু হবে৷ পাশাপাশি আগামী বছর সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন সভাপতি নির্বাচন সেরে ফেলবে কংগ্রেস৷ ততদিন পূর্ণ সময়ের জন্য দায়িত্ব সামলাবেন সোনিয়া গান্ধী৷ দলের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরযেওয়াল বলেন, কার্যকরী সমিতির সব সদস্যই সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর নেতৃত্বের উপর আস্থা রেখেছে৷