কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা ও সঙ্গীতশিল্পী সিধু মুসেওয়ালার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সিবিআই এবং এনআইএ তদন্ত দাবি করলেন তাঁর বাবা বালকৌর সিং। তিনি এই মর্মে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মানকে। ওই চিঠিতে সিধুর বাবা আরও লিখেছেন, ছেলের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের গোপন নথি যে অফিসাররা ফাঁস করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া মানসা থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩০৭, ৩৪১ ধারা এবং অস্ত্র আইনের ২৫ ও ২৭ ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে পঞ্জাব পুলিস।
একইসঙ্গে সিধুর বাবা হাইকোর্টের বিচারপতির তত্বাবধানেও তদন্ত চেয়েছেন। সূত্রের খবর, পঞ্জাব সরকার হরিয়ানা এবং পঞ্জাব হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে এই খুনের ব্যাপারে কোনও বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
He also demands the case be investigated by a sitting judge of the High Court, officers who made public the orders regarding withdrawal of security should be held accountable and an apology from the Punjab DGP for relating this incident to gang war.
— ANI (@ANI) May 30, 2022
বালকৌর সিংয়ের দায়ের করা এফআইআর থেকে মিলেছে নতুন তথ্য। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, দুষ্কৃতীদের বিভিন্ন গ্যাং মাঝেমধ্যেই তোলা চেয়ে ছেলেকে প্রাণে মারার হুমকি দিত। লরেন্স বিষ্ণোই-এর গ্যাং তার মধ্যে অন্যতম। এই গ্যাংই কয়েকদিন আগে খুনের হুমকি দিয়েছিল সিধুকে। সরকারি নিরাপত্তা ওঠার পরেও নিজের বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়েই ঘুরতেন সিধু। কিন্তু রবিবার বুলেটপ্রুফ গাড়ি ছেড়ে মাহিন্দ্রা থর জিপ নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। সিধু নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দুষ্কৃতীরা তিনটি গাড়ি নিয়ে তাঁর গাড়ি আটকায়। খুব কাছ থেকে তাঁদের গুলি করা হয়।
Punjab Govt will request Chief Justice of Punjab & Haryana High Court to get the case inquired into by the sitting judge of the HC: Chief Minister's Office pic.twitter.com/ktUxzC29wv
— ANI (@ANI) May 30, 2022
সিধু হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ৬ সন্দেহভাজনকে আটক করেছে মানসা থানার পুলিস। যেখানে গুলি চালানো হয়েছিল, সেখানে একটি পিস্তলও উদ্ধার হয়েছে। গুলিকাণ্ডে AN 94 রাশিয়ান অ্যাসল্ট রাইফেল ব্যবহার করা হয়েছিল বলেও অনুমান পুলিসের।
পঞ্জাব পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তায় তিন দিক থেকে তিনটি গাড়ি এসে সিধুকে ঘিরে ফেলে। তার পর এলোপাথাড়ি ৩০ রাউন্ড গুলি চালানো হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। আত্মরক্ষার কোনও সুযোগি পাননি সিধু। গাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। গুলিবিদ্ধ হন গাড়িতে থাকা তাঁর দুই বন্ধুও।
আরও পড়ুন: Sidhu Moose Wala murder: মুসেওয়ালা খুনের দায় স্বীকার করল আন্তর্জাতিক গ্যাংস্টার বাহিনী
ঘটনায় মিলেছে একটি সিসিটিভি ফুটেজও। সেখানে ৩০ রাউন্ড গুলি চালানোর প্রমাণ স্পষ্ট। শোনা গিয়েছে গুলি চালানোর শব্দও। পঞ্জাব পুলিসের ডিরেক্টর জেনারেল ভিকে ভাওরা জানাচ্ছেন, দুটি গাড়িতে আট-দশ জন ছিলেন। কমকরে ৩টি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল এই হত্যাকাণ্ডে।