২৯ অক্টোবর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয় উদযাপনের অপরাধে আগ্রার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৩ কাশ্মীরি ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কাশ্মীরি এই তিন ছাত্রের মধ্যে ২ জনের বয়স ২০ এবং একজনের ২১ বছর। এই তিন ছাত্রের গ্রেফতারের পর জগদীশপুর থানা তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন এবং তাদের আদালতে তোলা হয়।
ভারতের হারের পর পাকিস্তানের সমর্থনে হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস দেওয়ায় আগ্রার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৩ পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরা ৩ জনই জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা। পাকিস্তানের জয়ের পর তাঁদের উচ্ছ্বাস প্রকাশের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আগ্রা আদালত তাদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় তদন্তের জন্য পাঠায়। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয় উদযাপনকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন চালু করা হবে। জগদীশপুর থানার একজন পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, এই তিন কাশ্মীরি ছাত্রকে পাকিস্তানপন্থী স্লোগান দেওয়ার জন্যই গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আগ্রার ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ডিরেক্টর জানান, কলেজের যে ছাত্ররা পাকিস্তানপন্থী পোস্ট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিছু ছাত্র এই ঘটনার পর ক্ষমা চেয়েছে। আগ্রায় রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য অভিযুক্ত কাশ্মীরি ছাত্রদের উপর আইনজীবীদের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। মামলা চলাকালীন কাশ্মীরি ছাত্রদের পক্ষে আইনজীবীদের রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মামলার শুনানি চলছে।