লখনউ: লখিমপুর খেরির (Lakhimpur Kheri) ঘটনার তিনদিন হতে চলল৷ এখনও নীরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)৷ তাঁর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা৷ চার কৃষকের মৃত্যু সত্ত্বেও কেন তিনি একটিও শব্দ খরচ করলেন না সেটাই আশ্চর্য ঠেকছে অনেকের৷ যদিও সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এ ব্যাপারে কথা হয়েছে৷ লখিমপুর ঘটনার অগ্রগতি নিয়ে জানতে চান৷ সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী যা যা জানতে চেয়েছেন বিস্তারিত তথ্য সমেত তা তুলে ধরেন যোগী আদিত্যনাথ৷
আরও পড়ুন: কে এই ‘ভাইয়া’ ? লাখিমপুরের ঘটনায় উঠে এল আরও এক সন্দেহভাজনের নাম
গত রবিবার লখিমপুর খেরিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলের গাড়ির ধাক্কায় কয়েকজন কৃষকের মৃত্যু হয়৷ এর পরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা৷ গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা৷ পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষ এবং গাড়ি চাপা পড়ে মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ যাদের মধ্যে চার জনই কৃষক৷ এর বাইরে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে যাঁরা কৃষক নন৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি কর্মী এবং এক সাংবাদিক৷ আট জনের মধ্যে ওই সাংবাদিকের মৃত্যু সবচেয়ে রহস্যজনক৷ ইতিমধ্যে মৃতদের ময়নাতদন্ত হয়েছে৷ সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছে পুলিশ৷ এফআইআর দায়ের হয়েছে৷ তাতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলের নাম রয়েছে৷ কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ৷ বিরোধীরা তাই পুলিশি নিষ্ক্রয়তার অভিযোগ তুলছেন৷ এমন পরিস্থিতিতে যোগী আদিত্যনাথকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
আরও পড়ুন: লখিমপুরের ঘটনার ৩ দিন পর অমিতের সঙ্গে দেখা করে রিপোর্ট দিলেন অজয় মিশ্র
লখিমপুরে কৃষক মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে কোনও বিবৃতি দেননি প্রধানমন্ত্রী৷ গতকাল মঙ্গলবার একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনে তিনি লখনউ গিয়েছিলেন৷ সব মিলিয়ে ২৭০০ কোটি টাকার বেশি প্রজেক্ট লঞ্চ করেছিলেন৷ উত্তরপ্রদেশে ৫ থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিন ব্যাপী আজাদি কা মহোৎসব পালন করছে যোগী সরকার৷ মহোৎসবের প্রথম দিন মোদি গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশ৷