নয়াদিল্লি: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছেলের গাড়ির ধাক্কায় উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) লখিমপুরে (Lakhimpur Kheri) চার কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় ক্রমেই চাপ বাড়ছে রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের উপর৷ মন্ত্রী অজয় মিশ্রের (Ajay Mishra) পদত্যাগের দাবি তুলেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা৷ যদিও পদত্যাগের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী৷ তার পর আজ বুধবার তিনি যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে৷ দু’জনের মধ্যে আধঘণ্টা কথা হয়৷ সূত্রের খবর, অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেই নর্থ ব্লকে নিজের অফিসে চলে যান অজয় মিশ্র৷
আরও পড়ুন: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর রাহুল, প্রিয়াঙ্কাকে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দিল যোগী সরকার
তাহলে কি অজয় মিশ্রকে প্রতিমন্ত্রীর পদেই বহাল রাখলেন অমিত শাহ? বিভিন্ন সূত্রে খবর, লখিমপুর খেরির ঘটনার পরেও অমিত শাহ তাঁর মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীকে ডেকে পাঠাননি৷ অজয় মিশ্র নিজে সময় চেয়ে গিয়েছিলেন অমিতের সঙ্গে দেখা করতে৷ আজকের বৈঠকে তাঁকে পুরো ঘটনাটি জানান৷ সূত্রের খবর, দু’জনের ইস্তফা নিয়ে কোনও কথা হয়নি৷ না তো অমিত শাহ অজয় মিশ্রকে পদত্যাগ করতে বলেছেন৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, অজয় মিশ্রকে এখনই পদত্যাগ করতে বলবেন না অমিত শাহ৷ সেটা হলে বিরোধীদের জয় হবে৷ বিরোধীরা বলতে পারবে তাদের চাপে অজয় মিশ্র পদত্যাগ করলেন৷ উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে যা অক্সিজেন জোগাবে বিরোধীদের৷ ফলে ওই রাস্তায় হাঁটবে না কেন্দ্র৷
এর আগে মঙ্গলবার ইস্তফার দাবি উড়িয়ে দিয়েছিলেন অজয় মিশ্র৷ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, ‘কীসের চাপ? কেন আমি ইস্তফা দেব? আমার উপর কোনও চাপ নেই৷ এর তদন্ত হবে৷ যারা জড়িত, যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’
আরও পড়ুন: লখিমপুরের পথে রাহুল
গত রবিবার লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের মৃত্যুর পর থেকেই অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রের গ্রেফতারিতে সরব হয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা৷ পুলিশ জানায়, সংঘর্ষ এবং গাড়ির ধাক্কায় মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এদের মধ্যে চার জন কৃষক৷ আন্দোলনরত কৃষকদের দাবি, মন্ত্রীর কনভয়ের একটি গাড়ি ধাক্কা মেরেছিল প্রতিবাদীদের উপর৷ ওই গাড়ির তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় চার কৃষকের৷ ওই গাড়িতেই ছিলেন আশিস মিশ্র৷
কিন্তু মন্ত্রী শুরু থেকেই দাবি করেন, এটা ষড়যন্ত্র৷ ঘটনার সময় তিনি বা তাঁর ছেলে কেউই সেখানে ছিলেন না৷ গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর ড্রাইভার৷ তাঁকে পিটিয়ে মারে উত্তেজিত জনতা৷ রেহাই মেলেনি বিজেপি কর্মীদের৷ গণধোলাইয়ে তিন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়৷