রেকর্ড বৃদ্ধির পর দেশজুড়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রইল। এর আগে বৃহস্পতিবার জ্বালানির দাম বেড়েছিল। শুক্রবার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। নয়াদিল্লিতে এদিন পেট্রোলের দাম ৯৭ টাকা ৭৬ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৮৮ টাকা ৩০ পয়সা।
আরও পড়ুন: সংক্রমের হার নিম্নমুখী, চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট
পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই এক নাগাড়ে বেড়েই চলেছে জ্বালানির দাম। গত ৫৩ দিনে জ্বালানির দাম বেড়েছে ২৯ বার। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা এবং লাদাখের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই পেট্রোলের দাম ১০০-র গণ্ডি পার করেছে। উল্লেখ্য, স্থানীয় কর ও পরিবহন খরচ অনুসারে দেশের বিভিন্ন স্থানে পেট্রোল ও ডিজেলের দামের কিছুটা ফারাক হয়ে থাকে।
মহানগর | পেট্রোল | ডিজেল |
দিল্লি | ৯৭.৭৬ | ৮৮.৩০ |
মুম্বই | ১০৩.৮৯ | ৯৫.৭৯ |
চেন্নাই | ৯৮.৮৮ | ৯২.৮৯ |
কলকাতা | ৯৭.৬৩ | ৯১.১৫ |
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে রুটি-রুজি হারিয়ে সংকটে বহু মানুষ। এরই মধ্যে জ্বালানির দাম বেড়ে চলায় চিন্তার ভাঁজ আমজনতার কপালে। যদিও মুখে পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চুপ অমিত শাহও। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, কেন্দ্রের উচিৎ তেলের এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা। না হলে দেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ফাঁকা সিরিঞ্জ ঢুকে গেল শরীরে, ভাইরাল ভিডিও
তবে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সম্প্রতি বলেছেন, জ্বালানির দামবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে জানি। কিন্তু করোনার ভ্যাকসিনের জন্য একবছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য অর্থ সঞ্চয় করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
জ্বালানির লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ পথে নেমেছেন। কোথাও পথ অবরোধ করে, কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে, কোথাও বা বাইক পুড়িয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন স্থানীয়রা। করোনার কারণে সারা রাজ্যজুড়ে কিছু বিধিনিষেধ জারি হয়েছে।
আরও পড়ুন: পর্ষদে জমা পড়ছে নবম শ্রেণির ভুল নম্বর
বন্ধ রয়েছে ট্রেন, বাসের মত গণপরিবহন পরিষেবা। তার ফলে সাধারণ মানুষকে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতে হচ্ছে প্রাইভেট গাড়ি। পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে গাড়িভাড়া। এদিকে বিধিনিষেধের কারণে রোজগারে প্রভাব, তারপর মূল্যবৃদ্ধি- এই দুইয়ের জাঁতাকলে নাজেহাল রাজ্যবাসী।