নয়াদিল্লি: গত ৩১ অগস্ট মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার পর জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা জিহাদ সংক্রান্ত বিবৃতি দেয়। সেই বিবৃতিতে, ইসলামিক ভূমি মুক্ত করতে বিশ্বব্যাপী জিহাদের কথা উল্লেখ করা হয়। কাশ্মীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়। সূত্রে খবর, আল-কায়েদার ওই বিবৃতির পিছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে। আল-কায়েদার বক্তব্যে, কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্তি এবং চেচনিয়া ও জিনজিয়াং বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এক সরকারি সূত্র বলেন, আল-কায়েদার বিশ্বব্যাপী জিহাদে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করা উদ্বেগের বিষয়। আরও বিস্ময়কর এই কারণে যে, এর আগে কোন বিবৃতিতে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলা হয়নি। নিশ্চয়ই এই বিবৃতির পিছনে পাকিস্তানের আইএসআই এর ভূমিকা রয়েছে। এই বিবৃতি ভারতে হামলার ক্ষেত্রে লস্কর-ই-তৈয়বা এবং জৈশ-ই-মোহাম্মদের মতো পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে উৎসাহিত করবে।
আর এক আধিকারিকের বক্তব্য, আল-কায়েদার বিবৃতি এখনো পর্যন্ত বিচার্য পর্যায়ে রয়েছে। তা সত্ত্বেও বিষয়টি ভারতের কাছে উল্লেখযোগ্যভাবে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের আরো বেশি মৌলবাদী বা কট্টরপন্থী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যা বিশ্বমানবতার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর। পাশাপাশি পাকিস্তানও তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা: তদন্তভার হাতে পাওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট দিল CBI
সরকারি সূত্রে আরও খবর, পাকিস্তান বলেছে, আল কায়েদার প্রধান হিসেবে আয়মান আল জাওয়াহিরিকে বসাতে তাদের ভূমিকা রয়েছে। এমনকী, তালিবানের সুপ্রিম কমান্ডার হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই -এর হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন-বিদেশ থেকে ভারতে আসতে rt-pcr রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ বাধ্যতামূলক
জিহাদের মাধ্যমে “মুক্তির” লক্ষ্যে মধ্যে রাশিয়ার চেচনিয়া এবং চীনের জিনজিয়াংকে বাদ দেওয়া উল্লেখযোগ্য এবং বিষয়। আল কায়েদার বিবৃতিতে বলা হয়েছে: “লেভান্ট, সোমালিয়া, ইয়েমেন, কাশ্মীর এবং বাকি ইসলামিক ভূখণ্ডকে ইসলামের শত্রুদের কবল থেকে মুক্ত করুন। হে আল্লাহ! সারা বিশ্বের মুসলিম বন্দিদের মুক্তি দিন।”
আরও পড়ুন- বাবাও চাইছেন গরু হোক জাতীয় পশু
সূত্রের খবর, সরকারি পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, ইরানে আল -কায়েদার অধিকাংশ সহানুভূতিশীল এবং সন্ত্রাসীদের পরিবারের উপস্থিতি। তাদের অনেকই এখন আফগানিস্তানে ফিরে যাবেনবলে মনে করা হচ্ছে। এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “যদিও এটি একটি শিয়া-অধ্যুষিত দেশ। আগের ইতিহাস অনুযায়ী, যতদূর কৌশলগত সুবিধার বিষয়, শিয়া এবং সুন্নি উভয়ই কাজ করতে পারে যদি একসাথে না হয়, তবে অন্তত একে অপরের বিরুদ্ধে করবে না।”
তালিবানরা দাবি করছে যে, বর্তমান সময়ে বিশ্বের কাছে তাদের ভূমিকা আগের তুলনায় অন্য রকম হবে। তা কতটা বাস্তবায়িত হয় ভারত সেদিকে নজর রেখেছে।