শ্রীনগর: রাস্তার উপর থেকে উদ্ধার হয়েছিল IED বিস্ফোরক। যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় কাশ্মীরের রাজৌরি-পুঞ্চ জাতীয় সড়কে। ঘটনার তদন্তে নামে জাতীয় তদন্তকারি সংস্থা(NIA)। শুরু হয় তল্লাশি আভিযান। সেই অভিযানেই এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার ঘোষণা, রাজনীতি ছাড়ছেন ‘অভিমানী’ বাবুল
শনিবার সকালের দিকে জাতীয় সড়কের উপরে বিস্ফোরক উদ্ধারের কারণে যানজটের সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেই বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার পরে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। ঘটনার তদন্ত শুরু করে জাতীয় তদন্তকারি সংস্থা(NIA)। আরও কোথাও তেমন কোনও বিস্ফোরক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে আসরে নামে বাহিনী। শুরু হয় অভিযান।
আরও পড়ুন- ডিভিসিকে জল ছাড়ার অনুমতি, প্লাবনের আশঙ্কায় জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যসচিবের
অন্যদিকে, জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-মুস্তাফা নিয়েও তদন্ত চালাচ্ছিল জাতীয় তদন্তকারি সংস্থা(NIA)। দুই ঘটনার তদন্তে নেমে মোট ১৫ জায়গায় শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সেই অভিযানেই এক লস্কর জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। ওই জঙ্গির নাম ইরফান আহমেদ দার। ধৃতের কাছ থেকে মোবাইল, পেন ড্রাইভ, ল্যাপটপের মতো নানান ডিজিটাল সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর দখলে বঙ্গ বিজেপি, অস্তিত্বের সঙ্কটে দিলীপ: ফিরহাদ
এদিন সকালের জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য পেয়েছিল ভারতীয় সেনা। শুক্রবার কাশ্মীরে গ্রেনেড হামলায় জখম দুই জওয়ান-সহ তিনজন জখম হন। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা জবাব দিল বাহিনী। পুলওয়ামায় ডাচিগ্রাম জঙ্গলের নামিবিয়ান ও মারসারের মধ্যবর্তী এলাকায় এ দিন ভোরের দিকে অভিযান শুরু করে বাহিনী। কাশ্মীরের পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষীদের যৌথ অভিযান শুরু হয় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। বাহিনীর গুলিতে খতম করা হয় দুই জঙ্গিকে।
সেই দুই জঙ্গির মধ্যে একজন হল লম্বু। এই পাক জঙ্গি জৈইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ওই জঙ্গিদলের শীর্ষস্তরের নেতা ছিল এই লম্বু। যার প্রকৃত নাম হচ্ছে মহম্মদ ইসমাইল আলভি। যে আদনান নামেও পরিচিত ছিল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে যে এই লম্বু কুখ্যাত জঙ্গিনেতা মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্য ছিল। পুলওয়ামা, লেথপোড়াসহ একাধিক হামলা এবং সমগ্র ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও যুক্ত ছিল এই লম্বু।